গাইবান্ধার নদী ভাঙন অব্যাহত
পিয়ারুল ইসলাম হুমায়ূন, গাইবান্ধা
প্রিন্টঅঅ-অ+
ছবি : ফাইল
তিস্তা, ঘাঘট, করতোয়া, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমতে শুরু করায় বুধবার গাইবান্ধার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে নদী ভাঙনের তীব্রতা অব্যাহত রয়েছে।
পানির প্রবল চাপে জেলার ফুলছড়ি উপজেলার বেশ কয়েকটি পয়েন্টে নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে বন্যার পানি নামতে শুরু করায় নদীগুলোর স্রোতের তীব্রতা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীতে ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের চন্দনস্বর, উত্তর খাটিয়ামারী, পূর্ব খাটিয়ামারী, পশ্চিম খাটিয়ামারী, কুচখালী, কাউয়াবাঁধা গ্রাম জুড়েই ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
একই উপজেলার উদাখালী ইউনিয়নের সিংড়িয়া, উড়িয়ার রতনপুর, কালাসোনা, গজারিয়ার কামারপাড়া, জিয়াডাঙ্গা, কঞ্চিপাড়ার রসুলপুর, পূর্ব কঞ্চিপাড়া, জোড়াবাড়ি, সাতারকান্দি, ফজলুপুর ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর ও খাটিয়ামারী গ্রামেও নদী ভাঙন অব্যাহত আছে।
এছাড়া তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদী তীরবর্তী সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুরসহ ৬টি ইউনিয়নের নিজামখাঁ, খোঁদ্দারচর, চরচরিতাবাড়ি, কানিচরিতাবাড়ি, রিয়াজ মিয়ারচর, উজান বুড়াইল, ভাটি বুড়াইল, কেরানির চর, কালাইসোতার চর, চর বিরহীম, ভোরের পাখি, কালিরখামার চর এলাকায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে নদী ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় গৃহহীন পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ভাঙ্গন আতঙ্কে রয়েছেন শতশত পরিবার, স্কুল, আদর্শ (গুচ্ছ) গ্রাম, গো-হাট, বেসরকারী সংস্থাসহ অনেক স্থাপনা। তাদের একমাত্র ভরসা অন্যের বাড়ীতে আশ্রয় অথবা ওয়াপদা বাঁধে বাঁধ।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।