অন্ধকার থেকে আলোয় পদযাত্রা শুরু: মিজানুর রহমান
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড.মিজানুর রহমান বলেছেন, ‘ছিটবাসীর আগের দিন শেষ, নতুন দিনের অভ্যূদয়। এবার অন্ধকার থেকে আলোয় পদযাত্রা। আমরা মিথ্যার চির অবসান ঘটাতে চাই। সত্য পরিচয়ে মাথা তুলে দাঁড়াতে চাই বিশ্ব দরবারে। ছিটবাসীর কোন শিশু কিশোরকে আর মিথ্যা পরিচয় নিয়ে স্কুল কলেজে পড়তে হবে না। তারা বাংলাদেশি পরিচয়ে স্কুল কলেজে পড়বে, লেখা পড়া শিখবে। অন্ধকার দূর হবে, আলোয় উদ্ভাসিত হবে ছিটবাসী।’
বুধবার দুপুরে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার অভ্যন্তরে অবস্থিত ভারতীয় ১১৯ নং বাঁশকাটা ছিটমহলে ছিটবাসীর সাথে এক মত বিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বুধবার দুপুরে বাঁশকাটা ছিটে পৌছলে সেখানকার নারী-পুরুষ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানান।
ছিটবাসীর বিভিন্ন সমস্যা ও দাবি দাবার প্রেক্ষিতে কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, দ্রুত জাতীয় পরিচয় পত্রসহ ভোটার আইডি কার্ডের কাজ সম্পন্ন হবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও অবকাঠামো উন্নয়নের ব্যবস্থা দ্রুত নেওয়া হবে। এ সময় ছিটের অধিবাসী শামসুন্নাহারের স্নাতক ডিগ্রী লাভের প্রশংসা করে তাকে চাকুরী দেওয়ার ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
তার সফরসঙ্গী ছিলেন, মানবাধিকার কমিশনের উপ-পরিচালক ইমাম উদ্দিন কবির, প্রফেসার লায়ালছুংগা। উপস্থিত ছিলেন পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবুল, পাটগ্রাম নির্বাহী অফিসার নূর কুতুবুল আলম, পাটগ্রাম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা রেজাউল করিম, জোংড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহ্ মাহমুদুন্নবী শাহিন, ছিটমহল সমন্বয় কমিটি বাংলাদেশ ইউনিটের সভাপতি মইনুল হক, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির লালমনিরহাট জেলার সভাপতি শাহ আব্দুল হামিদ আফতাবী বকুল, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম প্রমূখ।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।