ভাগ্যে ছিল তাই সাংবাদিককে পুড়িয়ে হত্যা
এক সপ্তাহ হয়ে গেল ভারতের উত্তর প্রদেশে সাংবাদিক যোগেন্দ্র সিংহকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার। কিন্তু এখনও আটক হয়নি অভিযুক্ত সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক তথা রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণমন্ত্রী রাম মূর্তি সিংহ ভার্মা। শুধু তাই নয় সমাজবাদী পার্টির তরফে রাম মূর্তির বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ এখনই করা হবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার এক মন্ত্রী তার দলের সতীর্থ রাম মূর্তির পাশে দাঁড়িয়ে বলেছেন, সাংবাদিক যোগেন্দ্র সিংহের ভাগ্যে ওভাবেই মৃত্যু ছিল তাই হয়েছে। যোগেন্দ্রর আকস্মিক মৃত্যুতে শোকাহত তার পরিবারের কাছে এটা নিঃসন্দেহে একটা বড় ধাক্কা।
এইধরণের মন্তব্যের ঠিক একদিন আগেই সমাজবাদী পার্টির নেতা শিবপাল যাদব বলেছিলেন, এইমুহূর্তে কোনোভাবেই রাম মূর্তির বিরুদ্ধে কোনও মামলা শুরু করা হবে না, বা তাকে তার পদ থেকেও সরানো হবে না। কারণ এই ঘটনার এখনও তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাউকে দোষী প্রমাণিত করা সম্ভব নয়।
এই মামলায় এখনও পর্যন্ত চার জন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। যোগেন্দ্রর পরিবারের তরফে ইলাহাবাদ হাইোকর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার পরিবারের তরফে সিবিআই তদন্তেরও আর্জি জানানো হয়েছে। যোগেন্দ্র পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, সমাজবাদী পার্টির নেতাদের তরফে তাদের ওপর এই মামলা তুলে নেওয়ার জন্যে চাপ আসছে। তবে নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থেকে যোগেন্দ্র স্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি অভিযুক্ত রাম মূর্তির ইস্তফা এবং গ্রেপ্তার দাবি করছেন।
গত সপ্তাহে সোশ্যাল মিডিয়ার সাংবাদিক যোগেন্দ্র সিংহ, সমাজপার্টির বিধায়ক রাম মূর্তির বিভিন্ন অনৈতিক কাজকর্মের বিরুদ্ধে ফেসবুকে মুখ খুলেছিলেন। তার বিরুদ্ধে খনিতে অনৈতিক কাজকর্ম, জোর করে জমি দখল করা সংক্রান্ত নানা অভিযোগ ছিল। এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরই, যোগেন্দ্রর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন অভিযুক্ত মন্ত্রী। এরপরই ওই সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করতে তার বাড়ি যায় পুলিশ। যোগেন্দ্রর পরিবারের লোকের অভিযোগ তাকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে পুলিশ তাকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেয়। তারপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় যোগেন্দ্রর।
মৃত্যুর আগে যোগেন্দ্র রাম মূর্তির বিরুদ্ধে তার ও তার পরিবারের ওপর ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসের অভিযোগ করেন।
যদিও পুলিশ সেই অভিযোগ মানতে নারাজ। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তারা ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতেই গিয়ে ছিলেন, কিন্তু তিনি আত্মহত্যা করেন।
sahos24.com | Online newspaper
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।