ইন্টার্নি শেষ হওয়ার কথা ছিল যেখানে
সেই ঢামেকেই তাঁর ময়নাতদন্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ১২ জুন, ২০১৫
প্রিন্টঅঅ-অ+
স্ত্রীর লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন আমিনুল ইসলাম (৩০)। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাজধানী ঢাকার ধানমণ্ডি কমফোর্ট হাসপাতাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরিবারের সূত্রে জানাগেছে, রাজধানীর কলাবাগানের কমফোর্ট হাসপাতালে বৃহস্পতিবার রাতে সোমার লাশ ফেলে পালিয়ে যাওয়ার সময় হাসপাতালের কর্মচারীরা সোমার স্বামী আমিনুল ইসলামকে আটক করে পুলিশে দেয়। যৌতুক না পেয়ে আমিনুল সোমাকে হত্যা করেছেন। সোমা স্বামীর সঙ্গে কল্যাণপুরের ১১ নম্বর সড়কের ৪৪ নম্বর বাসায় ভাড়া থাকতেন।
সোমা আক্তারের চাচা নুরুল ইসলামের ভাষ্য মতে, গতকাল দুপুর একটা পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজে কাজে ব্যস্ত ছিলেন সোমা। এ সময় সোমাকে বারবার ফোন করেন আমিনুল। পরে তাকে কল্যাণপুরের বাসায় নিয়ে যান আমিনুল। সন্ধ্যা সাতটার দিকে সোমাকে মৃত অবস্থায় কলাবাগানের কমফোর্ট হাসপাতালে পাওয়া যায়।
নূরুল ইসলাম জানান, সোমার গলা ও কানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাকে হত্যার পর রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়। কমফোর্ট হাসপাতালে রেখে রাত আটটার দিকে আমিনুল পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় হাসপাতালের কর্মচারীরা আমিনুলকে আটক করে কলাবাগান থানায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে আমিনুলকে মিরপুর থানায় পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় মিরপুর থানায় মামলা করেছেন সোমা আক্তারের বাবা তমিজউদ্দিন মাস্টার।
মিরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুকতারুজ্জামান জানান, রাত সাড়ে ১২টার দিকে সোমা আক্তারকে কমফোর্ট হাসপাতালে নিয়ে আসেন আমিনুল ইসলাম। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়। চিকিৎসক সোমার মৃত্যুর কথা জানানোর পর স্ত্রীর লাশ ফেলে পালিয়ে যাচ্ছিলেন আমিনুল ইসলাম। এ সময় হাসপাতালের কর্মচারীরা আমিনুল ইসলামকে ধরে কলাবাগান থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
কলাবাগান থানা পুলিশ তাকে মিরপুর থানা পুলিশে সোপর্দ করে বলে জানান এসআই শাহাজান আলী। নারী নির্যাতন, যৌতুক ও হত্যার অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে।
সোমার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।