ঘুষ না দিলে কাজ হয় না লালমনিরহাট পিডিবি কার্যালয়ে
আসাদুজ্জামান সাজু, লালমনিরহ্টা
প্রিন্টঅঅ-অ+
লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) অফিস দুর্নীতির আখড়ায় পরিনিত হয়েছে। ওই অফিসের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দালালদের যোগসাজে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছে ভুক্তভোগীরা। প্রকাশ্যে চলছে, নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের (ইস্টিমেট) নামে জমজমাট ঘুষ বানিজ্য। অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী সরাসরি স্বীকারও করছে তাদের ঘুষ বানিজ্যের কথা। যেনো দেখার কেউ নেই।
হাতিবান্ধা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) অফিসের হিসাব সহকারী আঃ মান্নান জানান, নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য (ইস্টিমেট) গ্রহকদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে ৪ হাজার টাকা। ওই টাকার মধ্যে মিটার ও ব্যাংকে জমা বাবদ ২ হাজার ২ শত টাকা খরচ হলেও বাকি ১ হাজার ৮ শত টাকা চলে যায় শ্রেণী ভেদে বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্যাকেটে।
তার হিসাব মতে, প্রতি নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ বাবদ চীফ ইঞ্চিনিয়ার, নির্বাহী প্রকৌশলী ও আবাসিক প্রকৌশলীকে ৫ শত টাকা করে মোট ১ হাজার ৫ শত টাকা দিতে হয়। বাকি ৩ শত তিনি নিজেই গ্রহন করেন।
তিনি আরও জানান, টাকা না দিলে ওই ৩ কর্মকর্তার কেউ ফাইলে স্বাক্ষর করেন না। আগে টাকা নেয় পরে স্বাক্ষর করেন।
হাতিবান্ধা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) আবাসিক প্রকৌশলী আবু আসাদ প্রামানিক ঘুষ গ্রহনের বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
লালমনিরহাট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) নিবার্হী প্রকৌশলী আবু হাসনাত জানান, অনেক বিষয় আছে। আপনারা সাংবাদিক, আপনাদের সব কিছু বলা যাবে না। তবে ঘুষ গ্রহনের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।