দেড়যুগ পেরিয়ে এখনও হাবুডুবু, খাবিখাচ্ছে-

নাহ্, সংসার সামলাতে পারছে না নবনীতা।

সব কাজেই অপটু----

যেন নিজের নয় কিছুই।

কখনও ভেবেছে সবটাই তার—

এখন আর ভাবে না সে।

এখন নিজেই যেন অন্য কেউ।

মাঝেমাঝে অনিমেষ কঠিন কণ্ঠস্বরে, তীব্র ঝাঁঝে শোনায় তাকে—

“ঠিকঠাক কিছুই পার না--শুধু চিৎকার, চেঁচামেচি, সোরগোল।”

মনে মনে স্বীকারও করে নেয় সে,

ঠিকই তো পারছে না সে কিছুই।

আর চিৎকার, চেঁচামেচি?

সেটাও করে সে সশব্দে নয় , মনে মনেই।

মনটাও আজকাল বড্ড বেশি চুপসে যাচ্ছে—

কত কি যে মনে ঢুকিয়ে নিচ্ছে!

কখনও বা দূর অতীতেও চলে যায় সে—সেই ছোট্টবেলায়—

সেই সে খেলাগুলো খুব খেলতে ইচ্ছে করে তার।

ছোট ছোট হাসিখুশি মুখগুলো ভেসে ওঠে—

এত স্পষ্ট যেন এখনই ঘটছে সব—

একা একা পথ পেরিয়ে, মাঠ পেরিয়ে চলতে থাকে—

অথবা মন পেরিয়ে-- অন্য মনে – কোথায় যেন!

এত একা কেন? এত কষ্ট কেন?

এমন ভাবছে কেন?

সবাই একা, সবারই কষ্ট আছে—

আলাদা তো কিছুই নয়!

“ধুর! কিছুই দেখতে পাচ্ছি না...!

ঝাপসা কেন সব? থাকগে – আর ভাববো না।”

কাজে লেগে গেল নবনীতা---

সংসার সামলাতে চেষ্টা করে যায় শুধু......