ফরিদপুরের সালথায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার জের ধরে এক পক্ষ অপর পক্ষের সমর্থকদের প্রায় অর্ধশত বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে।

শুক্রবার দুপুরে উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের খাড়দিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এলাকাবাসী জানিয়েছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে যদুনন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মিয়ার সমর্থকদের সাথে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য টুকু ঠাকুরের সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় দুই পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়। তাদের বোয়ালমারী ও ফরিদপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরই জের ধরে সকালে টুকু ঠাকুরের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আলমগীর মিয়ার সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে বলে অভিযোগ করেছে আলমগীরের সমর্থকরা। ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন- আলমগীরের সমর্থক মুক্তিযোদ্ধা মেসের মোল্যার পরিবারের ১০টি, নাসির ঠাকুরের একটি, সবুজের একটি, রাজ্জাক শেখের তিনটি, বাদশা শেখের তিনটি, আমজেদের চারটি, ইউসুফ মোল্যার তিনটি, নজরুলের একটি, মোতাচ্ছেরের দু’টি, বজলুর একটি, কাউছার শিকদারের দু’টি, আজাহারের একটি, আনোয়ারের একটি, মিরাজের একটি কাসেম মোল্যার পাঁচটি ও মোহাসিন মোল্যার দু’টি ঘরসহ অন্তত ৫০টি ঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট করে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর মিয়া বলেন, একাত্তরের মানবতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী ও ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের মামাতো ভাই টুলু মিয়া ও শ্যালক ইলিয়াছ কাজীর সহযোগিতায় টুকু ঠাকুরের সমর্থকরা আমার সমর্থকদের বাড়িঘরে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর লুটপাট করেছে।

অপর আওয়ামী লীগ নেতা টুকু ঠাকুর বলেন, আলমগীর মিয়া দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে। তাই এলাকাবাসী তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন এবং বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন।

সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ডি এম বেলায়েত হোসেন বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

sahos24.com | Online newspaper