- হোম
- >
- আইন-মানবাধিকার
- >
- সিরাজগঞ্জে যুবদল নেতা হত্যাকাণ্ডে স্ত্রী ও শ্যালকের বিরুদ্ধে মামলা
সিরাজগঞ্জে যুবদল নেতা হত্যাকাণ্ডে স্ত্রী ও শ্যালকের বিরুদ্ধে মামলা
মোঃ লুৎফুল কবির, সিরাজগঞ্জ
প্রিন্টঅঅ-অ+
ছবি : সেলিম রেজা সুজন ও স্ত্রী তিথি
সিরাজগঞ্জে শহর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম রেজা সুজন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার স্ত্রী জামিলা বেগম তিথি ও শ্যালক পিয়াস আহম্মেদকে আসামি করে মঙ্গলবার দুপুরে মামলা হয়েছে। মামলার বাদী হয়েছেন সুজনের মা মাজেদা খাতুন। এর আগে সোমবার রাতেই পুলিশ তিথি ও পিয়াসকে আটক করে।
সেলিম রেজা সুজনকে সোমবার রাতে জবাই করে হত্যা করে দুর্বত্তরা। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ তিথিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। নিহতের লাশ আজ দুপুরে ময়না তদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। বিকেলে মালশাপাড়া ঈদগাহ মাঠে নামাজে জানাযা শেষে মালশাপাড়া কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। নামাজে জানাযায় জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার (২ জুন) সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায় ১৯৯৬ সালে সুজন ভালবেসে বিয়ে করে শহরের মিরপুর বিড়ালা কুঠি মহল্লার গোলাম রহমান পারভেজের মেয়ে উম্মে সালমা তিথিকে। তাদের সংসারে জুবেদা ইসলাম সুতি (৮) নামের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। সে মিরপুর আনন্দ কোচিং সেন্টারের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী।
কান্নাজড়িত কন্ঠে সুজনের মা মাজেদা বেগম বলেন, আমার ছেলে সুজন বিকেলে বা সন্ধ্যায় কখনো ঘুমাতো না। তাকে তার স্ত্রী তিথি শরবতের মধ্যে ঘুমের ওষুধ দিয়ে ঘুম পারিয়ে গলা কেটে হত্যা করেছে। তিথিই আসল খুনী। আমি এ হত্যাকাণ্ডের সুবিচার চাই।
সুজনের বাবা আব্দুস সামাদ জানান, বিয়ের পর থেকে তিথির বেপরোয়া চলাফেরায় বাঁধা দিতে গেলে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া-ঝাটি হতো। বাড়ীর কারও সাথে তিথির সু-সম্পর্ক ছিল না, কারও বাঁধা নিষেধও সে শুনতো না। এসব কারণেই তার ছেলে খুন হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন।
সুজনের চাচী হাসিনা খাতুন জানান, রাজনৈতিক মামলার কারণে সুজন পালিয়ে থাকতো। মোবাইল, ফেসবুক এবং ভিডিও কলের সাহায্যে তিথিকে প্রায়ই প্রেমিকের সাথে কথপোকথন করতে দেখা গেছে। Islam R Jaan (রানী) নামের ফেইজবুক পেজ ব্যবহার করতো। উভয়ের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। পরিকল্পিতভাবে এই হত্যা করা হয়েছে। খুনের আগে ও পরে তিথির আচরণ ছিল সন্দেহজনক। নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বললে এসব তথ্য উঠে আসে।
সদর থানার ওসি হাবিবুল ইসলাম জানান, আটককৃতদের থানা হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। খুনের মোটিভ ক্রমেই পরকীয়ার দিকে যাচ্ছে। কারা এ খুনের সাথে জড়িত তদন্তের স্বার্থে তা এখন প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
সদর সার্কেল এএসপি ফারুক আহম্মেদ জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তে যেই হোক না কেন অভিযুক্ত হলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।