মোদির আমন্ত্রণে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন মমতা
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরে মমতাকে সঙ্গী হওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মোদি। মোদির আমন্ত্রণ গ্রহণে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন মমতাও।
ভারতের সংবাদমাধ্যম জানায়, চলতি মে মাসের ৯ ও ১০ তারিখে মোদি কলকাতা সফরে যান। ওই সময় পশ্চিমবঙ্গের মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়। ওই সময় তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানান।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, মোদির সঙ্গে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণে মমতা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ না থাকলে তিনি মোদির সফরসঙ্গী হবেন।
জুনের বাংলাদেশ সফরই হবে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর পার্শ্ববর্তী দেশটিতে মোদির প্রথম সফর। এর আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বেশ কয়েকবার বৈঠক হয়েছে। গত বছর সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্ক ও কাঠমান্ডুতে হাসিনা-মোদি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। নভেম্বরে জাতিসংঘের অভিবাসন ও সার্ক সম্মেলনেও দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হয়।
ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) বরাবরই পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের সমালোচনায় মুখর ছিল। তবে চলতি মাসের শুরুতে পশ্চিমবঙ্গ সফরে মোদি-মমতা বৈঠকে দুই নেতাকে বেশ আন্তরিকই দেখা যায়।
২০১১ সালে তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের উদ্যোগ ভেস্তে যায় মমতার বিরোধিতায়। তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তির বিরোধিতায় মমতার যুক্তি ছিল, ওই নদীর পানির ওপর পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা অনেক নির্ভরশীল।
মমতার বিরোধিতায় তিস্তা চুক্তি ভেস্তে গেলেও প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সফরে যুক্ত হয় স্থলসীমান্ত চুক্তি। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ছিটমহল বিনিময়ের এ চুক্তিতে ওই সময় দুই দেশ সম্মত হয়। এ চুক্তি বাস্তবায়ন হলে ভারতের মধ্যে থাকা বাংলাদেশের ১১১টি ছিটমহল ও বাংলাদেশের মধ্যে থাকা ভারতের ৫১টি ছিটমহলের ব্যাপারে সমাধান হবে।
মোদির সফরে মমতার আসার সম্ভাবনা বাংলাদেশের সঙ্গে স্থলসীমান্ত চুক্তি নিয়ে তৃণমূলের পরিবর্তিত অবস্থানকেই প্রকাশ করে। তৃণমূলের এমন অবস্থানের কারণে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি নিয়েও মমতার দলের মত পরিবর্তন আশা করা হচ্ছে। সম্প্রতি তিস্তা চুক্তি নিয়ে মমতার তেমন বিরোধিতা দেখা যায়নি।
অনেকেই বাংলাদেশ সফরে মমতাকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি তৃণমূলের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনে মোদির প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।