বদলে যাচ্ছে ছিটমহলগুলোর রুপ
স্থল সীমান্ত চুক্তির আওতায় ছিটমহল বিনিময়ের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ছিটমহলগুলোতে ঘটছে নানা ঘটনা। সুযোগ সুবিধা পাওয়ার আশায় নতুন নতুন ঘর উঠছে ছিটমহলে। যারা কৌশলে বাংলাদেশি এলাকায় বাড়ি করেছিল তারাও ছিটমহলে ফিরতে শুরু করেছেন। ঢুকছেন বাংলাদেশি নাগরিকরাও। ফলে জমি নিয়ে সংঘাতের আশঙ্কা বাড়ছে।
পঞ্চগড়ের গারাতি ছিটমহলে বাস ৩৭৫টি পরিবারের। ছিটমহল বিনিময়ের খবরে এখানে বেড়ে গেছে বাড়ির সংখ্যা। অজানা আশায় বাংলাদেশিরাও ঢুকছেন সেখানে।বিশেষ সুবিধা পাওয়া যাবে, এই আশায় কৃষিজমিতেও শুরু হয়েছে তড়িঘড়ি করে ঘর বানানোর কাজ।
দ্রুত শিক্ষা, চিকিৎসা, চাকরি, নিরাপত্তাসহ সব নাগরিক সুবিধা পাওয়ার স্বপ্নে বিভোর নীলফামারীর ছিটমহলের বাসিন্দারা। বহিরাগতদের হামলা-ঝামেলার ব্যাপারেও সর্তক তারা।
কুড়িগ্রামে ভারতীয় ছিটমহল দাশিয়ারছড়ার বাসিন্দারা আগে ভারতের কোচবিহারের দিনহাটায় জমি নিবন্ধন করতো। এক দশক ধরে মিলছে না সে সুযোগ। দলিল না থাকায় ছিটমহল বিনিময় হলে নামজারি নিয়ে চিন্তিত জমির মালিকরা।
ছিটমহলের বাইরের অনেকেই কম দামে ছিটমহলের জমি কিনেছেন। তাদের ধারণা ছিটমহল হলে সেই জমি হারাবেন তারা। তাই ছিটমহলের বাসিন্দা হিসেবে নাম তালিকাভুক্তির জন্য মরিয়া তারা।
৬৮ বছরের অধিকারবঞ্চিত ছিটমহলের বাসিন্দারা চান, জমি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান হোক শান্তিপূর্ণভাবে। উদ্বেগ দূর করতে সরকারের সুষ্পষ্ট ঘোষণাও চান তারা।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।