বৃদ্ধাশ্রম থেকে বিয়ের পিঁড়িতে
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ২১ মে, ২০১৫
প্রিন্টঅঅ-অ+
যেখানে জীবনের যাবতীয় আয়োজন চুকিয়েই বৃদ্ধাশ্রমে ঠাঁই নেয় লোকে, সেখানেই একটি নতুন জীবনের আয়োজন শুরু করলেন শান্তনু এবং মঞ্জু।
৭৫ বছর বয়সী শান্তনু কুমার দাস এবং ৬৩ বছরের মঞ্জু সিং রায় আসামের একটি বৃদ্ধাশ্রমে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।
শান্তনুকুমার দাস নামের ওই বরের বাড়ি ভারতের আসাম রাজ্যে। রাজ্যের সেচ বিভাগের এই প্রকৌশলি স্ত্রীকে নিয়ে অবসর কাটানোর ডেরা খুঁজে নেন রাজ্যের রাজধানী গৌহাটির হাইলাকান্দিতে। তবে নিঃসন্তান এ শান্তনুকুমারের স্ত্রী মারা যাওয়ায় একা হয়ে যান তিনি। সেই একাকীত্ব কাটাতেই চলে আসেন 'মাদার ওল্ড এজ হোম' নামের বৃদ্ধাশ্রমে।
অপরদিকে কনে মঞ্জু সিং রায়ের ছিল বেসরকারি চাকরি। অবসরের পর তিনি ভাইয়ের সংসারে থাকতেন। টানাটানির সংসারেও মঞ্জু সিংকে আশ্রয় দেওয়া ভাই মারা গেলে অকুল পাথারে পরেন তিনি। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরা মঞ্জুকে একদিন বৃদ্ধাশ্রমে নিয়ে আসেন 'মাদার ওল্ড এজ হোমের' প্রতিষ্ঠাতা উৎপল ও মণিকা।
শান্তনু কুমারের সঙ্গে মঞ্জুর 'প্রেম' হয় অনেকটা ঘটনাচক্রে। মাদার ওল্ড এজ হোমের একমাত্র পুরুষবাসিন্দা শান্তনু অসুস্থ্য হলে মঞ্জু রায় তার সেবা করেন। তখন থেকেই মূলত শুরু হয় দু’জনের মনের লেনাদেনা। অবশেষে যা পরিণয়ে পরিণতি লাভ করে।
এ বিষয়ে মাদার ওল্ড এজ হোমের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা উৎপল জানান, বছর খানেক প্রেম করার পর আমরা বিষয়টি বুঝতে পারি। প্রায় তিন মাস আগে তাদের কাছে বিয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে দু’জনই হ্যা বলে দেন।
পরের কাহিনী অনেকটা গল্পের মতো। মাদার ওল্ড এজ হোমের পূজামণ্ডপে আয়োজন করা হয় বিয়ের। অতিথিও কম ছিলেন না বিয়েতে। সবকিছু শেষে মধুচন্দ্রিমায় যাওয়ারও প্রস্তুতি নিচ্ছেন বুড়ো বয়সের 'তরুণ' এই নবদম্পতি।
শান্তনু-মঞ্জুর জাঁকজমকপূর্ণ বিয়ের আয়োজনে যোগ দিয়েছিলেন শহরের বাসিন্দারা। বিয়ের আসরে বসে প্রবীণ এ প্রেমিক-প্রেমিকার প্রণয়-পর্বের শুরুর কথা শুনাচ্ছিলেন বৃদ্ধাশ্রমটির প্রতিষ্ঠাতা উৎপল ও মণিকা।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।