কর্ণফুলী পেপার মিলকে আধুনিকায়নের উদ্যোগ
দেশের বৃহত্তম একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজকল কর্ণফুলী পেপার মিলের (কেপিএম) ৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিকায়নের উদ্যোগ নিয়েছে বিসিআইসি। বর্তমানে চরম আর্থিক সঙ্কটে থাকা কর্ণফুলী পেপার মিলটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে রয়েছে। দেশের বৃহত্তম এই কাগজকলের সঙ্কটক নিরসনে তিন ধাপে কারখানাটি আধুনিকায়নের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিসিআইসি কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ ক্যামিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) সূত্র জানান, মিলে কাঁচামাল সঙ্কট, উৎপাদন ঘাটতি এবং আর্থিক দুরাবস্থার সঙ্কট নিরসনে ও আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ৮১ কোটি টাকা ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মিলের স্বাভাবিক উৎপাদন ফিরিয়ে আনতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার পরিকল্পনায় এই অর্থ ব্যয় করা হবে।
স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনার আওতায় মিলের ক্যামিকেল প্লান্টের রক্ষণাবেক্ষণ করার পাশাপাশি প্লান্টের কস্টিক ক্লোরিন ইউনিটের সকল প্রকার যন্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণসহ ভৌত অবকাঠামোর মেরামত করা হবে। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ প্লান্টসমূহের রক্ষণাবেক্ষণ, স্টিম টারবাইন জেনারেটরের ওভারহলিং করা হবে। এতে কারখানার উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
এ ছাড়া দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনায় কারখানায় নতুন মেশিনারি সংযোজনসহ আরও আধুনিক অবকাঠামো তৈরি, কাঁচামাল সংগ্রহ সহজতর করা, কারখানার ব্যয় হ্রাস করে উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে কর্ণফুলী পেপার মিলকে একটি লাভজনক শিল্প প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৫১ সালে পাকিস্তান ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের অধীনে ৬৭.৫৭ মিলিয়ন রুপি ব্যয়ে কেপিএম প্রতিষ্ঠা করা হয়। আমেরিকা, ইংল্যান্ড, জার্মানি, সুইডেন ও ইতালির সহযোগিতায় ও বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তায় এশিয়ার বৃহত্তম এই মিলটিতে বছরে ৩০ হাজার টন উন্নতমানের কাগজ উৎপাদনের ক্ষমতা ছিল। বর্তমানে এই কারখানার কাগজ উৎপাদন ক্ষমতা এক তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে। একসময় কর্ণফুলী পেপার মিল এশিয়ার বৃহত্তম কাগজকল হিসেবে বিখ্যাত হলেও বর্তমানে কেপিএমর এই ঐতিহ্য আর নেই। অর্থাভাবে কারখানার দুই হাজারের বেশি শ্রমিক কর্মচারী নিয়মিত বেতন ভাতাও পাচ্ছেন না। কারখানাটি বর্তমানে বিসিআইসির লোকসানি প্রতিষ্ঠান হিসেবে তালিকাভুক্ত।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।