খুলনায় এখনও রাজাকার খান এ সবুরের নামে সড়ক!
গণহত্যা, নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে রবিবার (১৭ মে) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রফেসর ড. মুনতাসীর মামুন বলেছেন, খুলনায় এখনও কেন রাজাকার খান এ সবুরের নামে সড়ক? হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়নে খুলনার মানুষ আন্তরিক নন।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের ক্ষুদে জমিদার মনে করেন। আর জনগণকে প্রজা ভাবেন। তিনি জনপ্রতিনিধিদের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, জনপ্রতিনিধিরা নানা জায়গায় সরকারি অর্থ বরাদ্দ দেন। অথচ মুক্তিযুদ্ধের গবেষণার জন্য তথ্য সংগ্রহের জন্য খুলনায় প্রতিষ্ঠিত আর্কাইভটি কিভাবে পরিচালিত হচ্ছে তা কখনও স্থানীয় সংসদ সদস্যরা খোঁজ নেননি। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা এবং সরকারের মন্ত্রীও রয়েছেন খুলনার। তারা একটি টাকাও এই প্রতিষ্ঠানটিকে কোনো সহযোগিতা করেননি।
ড. মুনতাসীর মামুন আরও বলেন, খুলনা মহানগরীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খুলনা- যশোর সড়কের নাম পরিবর্তন করে স্বাধীনতাবিরোধী খান এ সবুরের নামে নামকরণ করা হয়। সেটি বাতিল করতে নিজ উদ্যোগে হাইকোর্টে আমি রিট করি। সেই রিটের আলোকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত এ সড়কটির সাবেক নাম পুর্নবহাল করা হয়নি। খুলনার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সাইনর্বোড থেকে নামটি মুছে ফেলারও কোনো উদ্যোগ নেননি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রফেসর ড. মুনতাসীর মামুন বলেন, যে মুক্তিযোদ্ধারা রাজাকারদের ক্ষমতায় বসার সুযোগ করে দিয়েছেন আমি তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা মনে করি না। একশ্রেণীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশবিরোধী জামায়াততে ক্ষমতায় বসার সুযোগ করে দিয়েছিলেন।
এর আগে সকালে নগরীর বিএমএ মিলনায়তনে ‘শিল্পীর চোখে ১৯৭১’র গণহত্যা ও নির্যাতন’ শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন হাশেম খান। তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে শিল্পীদের হাতে ছবি আকার রং-তুলি এবং অ্যাপ্রোণ (পোশাক) তুলে দেন।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে খ্যাতিমান চিত্রশিল্পীরা চিত্র প্রদর্শনীতে অংশ নেন। তারা হলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের শিক্ষক বিমানেশ বিশ্বাস, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তরিকত ইসলাম, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কলেজের অধ্যাপক সুকুমার বাগচী, যশোর আর্ট কলেজের শিক্ষক গৌতম বিশ্বাস, প্রদ্যুত ভট্রাচার্য, প্রশান্ত দাশ, নাজমুল ইসলাম, এবিএম হাফিজুল ইসলাম,ময়মনসিংহ আর্ট কলেজের ফরহাদ হোসেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রকিব হাসান, ঢাকার চিত্রশিল্পী ধর্ম দাশ মল্লিক, রাজশাহী আর্ট কলেজের শিক্ষক একেএম হাসান ইমাম, সুমন সরদার, শায়লা জিন্নাত রুমি, মোহাম্মদ রুমি প্রমুখ।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।