বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সন্দীপ মিত্র বলেছেন, ছিটমহলবাসীর খোঁজ-খবর নিতেই ছিটমহলে এসেছি। তাদের সুখ-দুঃখের কথা উভয় দেশের সরকারের কাছে তুলে ধরা হবে। 

রবিবার লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার জোংড়া ইউনিয়নের ১১৯ নং বাঁশকাটা ছিটমহলে পৌছে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে ভারতীয় লোকসভায় পাশ হয়েছে স্থলসীমান্ত  চুক্তি বিল। এর ফলশ্রুতিতে দীর্ঘ বন্দি জিবনের মুক্তি মিলেছে ছিটমহলবাসীর। ছিটমহলের এসব মানুষের অবস্থা জানতে তার সফর উল্লেখ করে সন্দিপ মিত্র বলেন, ১৯৭৪ সালে ইন্দ্রা-মুজিব চুক্তি অনুযায়ী ছিটমহলবাসী সকল সুযোগ সুবিধা পাবে। 

ছিটমহলবাসীর নিরাপত্তার ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের ভুয়াসী প্রশাংসা করে সহকারী হাইকমিশনার বলেন, ছিটমহল বাসীর জন্য যা যা করা দরকার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তা করবেন বলেও জানান তিনি।

স্থানীয় ছিটমহলবাসীর আয়োজনে ১১৯ নং ছিটমহলে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সন্দীপ মিত্র বলেন, ভুমির সমস্যর ব্যাপারে আমার বলার কিছু নেই। তবে উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের মাধ্যমে ভুমির সকল সমস্যা নিরসন করা হবে। জমি নিয়ে ছিটবাসীকে আতংতিক না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

তিনি ছিটমহলবাসীর উদ্দেশ্যে আরো বলেন, ছিটমহলের এ স্থিতিশীল পরিবেশে আপনারা জমি হস্তান্তর করবেন না। কোন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হলে স্থানীয় প্রশাসনকে জানাবেন। বাংলাদেশ সরকার আপনাদের নিরাপত্তার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়েছেন। 

ছিটমহলবাসীকে আতংকিত না পওয়ার পরামর্শ দিয়ে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার বলেন, আপনাদের বন্দি জিবনের চুড়ান্ত অবসান ঘটাতে উভয় দেশের সরকার আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে।

ছিটমহল বিনিময় ও সমন্বয় কমিটির বাংলাদেশ ইউনিটের লালমনিরহাট জেলা কমিটির সভাপতি শাহ আব্দুল হামিদ আফতাবি’র সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, লালমনিরহাট সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) আদিবুল ইসলাম, ছিটমহলের আইন উপদেষ্টা আব্রাহাম লিংকন, রংপুর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি সোহরাব চৌধুরী, ছিটমহল বিনিময় ও সমন্বয় কমিটির বাংলাদেশ ইউনিটের সভাপতি মইনুল হক, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, লালমনিরহাট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম। 

এর আগে ছিটমহলে পৌছলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতীয় ছিটমহলবাসী সন্দীপ মিত্রকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান। ছিটমহলবাসী তুলে ধরেন তাদের নানা সমস্যা আর সম্ভবনার কথা।

মতবিনিময় শেষে তিনি লালমনিরহাটের ৫৯টি ছিটমহলের মধ্যে বেশ কিছু ছিটমহল পরিদর্শন করেন।