- হোম
- >
- আইন-মানবাধিকার
- >
- ড্যান্ডি ডায়িং মামলায় খালেদার আইনজীবী নিয়োগ
ড্যান্ডি ডায়িং মামলায় খালেদার আইনজীবী নিয়োগ
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ১৭ মে, ২০১৫
প্রিন্টঅঅ-অ+
ছবি : ফাইল
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ড্যান্ডি ডায়িং ঋণখেলাপি মামলা মোকাবেলায় আইনজীবী নিয়োগ করেছেন। আগামী ৩০ জুন খালেদার জবাব দাখিল ও ইস্যু (বিচার্য বিষয়) গঠনের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রবিবার (১৭ মে) মামলাটিতে ইস্যু গঠনের দিন ধার্য ছিল। খালেদা জিয়া জয়নুল আবেদিন মেজবাহকে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। তিনি জবাব দাখিল ও ইস্যু গঠনের জন্য সময়ের আবেদন জানালে আগামী ৩০ জুন পুনর্নির্ধারণ করেছেন ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতের বিচারক ফাতেমা ফেরদৌস।
সোনালী ব্যাংকের দায়ের করা ৪৫ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের এ মামলাটির আসামি ছিলেন কোকো। তিনি মারা যাওয়ায় গত ১৬ মার্চ আদালত তার মা খালেদা জিয়া, স্ত্রী শর্মিলা রহমান এবং দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে বিবাদীভূক্ত করেন।
সোনালী ব্যাংকের আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন, বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হোসনে আরা বেগম শুনানিতে অংশ নেন।
গত ৮ মার্চ খালেদাসহ অন্যদের বিবাদীভূক্ত করার আবেদন জানিয়েছিলেন সোনালী ব্যাংকের আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি আবেদনে বলেন, আরাফাত রহমান কোকো এ মামলার বিবাদী। তিনি মারা যাওয়ায় খেলাপি ঋণ দেওয়ানি কর্মবিধি আইনের ২২নং আদেশের নিয়ম ৪ অনুসারে তার সম্পদের ওয়ারিশরা বিবাদীভূক্ত হবেন। তাই তার ওয়ারিশ হিসেবে খালেদা জিয়া, স্ত্রী শর্মিলা রহমান এবং দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে বিবাদীভূক্ত করার আবেদন জানানো হয়।
আদালত গত ১৬ মার্চ তা মঞ্জুর করেছেন।
২০১৩ সালের ২ অক্টোবর ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতে মামলাটি করেন সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয় শাখার সিনিয়র নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। ৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা ঋণখেলাপির অভিযোগে এ মামলাটি দায়ের করা হয়।
পরদিন ৩ অক্টোবর মামলাটি মধ্যস্থতা করার জন্য অ্যাডভোকেট আব্দুস সালামকে মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করেন বিচারক। কিন্তু দীর্ঘদিনেও কোনো মধ্যস্থতা না হওয়ায় বিচারক মামলাটিতে ইস্যু গঠনের সিদ্ধান্ত নেন।
কিন্তু বিবাদীপক্ষে এ মামলাটির কার্যক্রম চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। হাইকোর্টের বিষয়টি শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান বিবাদীপক্ষের আইনজীবী জাহেদুল ইসলাম কোয়েল।
জাহেদুল ইসলাম কোয়েল বলেন, ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত মামলার বিষয়বস্তু হলে ব্যাংকের ম্যানেজার মধ্যস্থতা করতে পারেন। কিন্তু ৫ কোটি টাকার উর্দ্ধে হলে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান/ম্যানেজিং ডাইরেক্টর পর্যায়ের কাউকে মধ্যস্থতায় থাকতে হবে।
এ মামলায় ব্যাংকের পক্ষে তেমন কোনো কর্মকর্তা উপস্থিত থাকেন না। এ বিষয়টিসহ অন্যান্য বিষয়ে মামলার কার্যক্রম চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।
এ মামলার অন্য বিবাদীরা হলেন, ড্যান্ডি ডায়িং লি., প্রয়াত সাঈদ এস্কাদরের ছেলে শামস এস্কান্দার ও সাফিন এস্কান্দার, মেয়ে সুমাইয়া এস্কান্দার, স্ত্রী বেগম নাসরিন আহমেদ, তারেক রহমান, গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, মামুনের স্ত্রী শাহীনা ইয়াসমিন, কাজী গালিব আহমেদ, শামসুন নাহার ও মাসুদ হাসান।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।