- হোম
- >
- আইন-মানবাধিকার
- >
- ব্লগার রাজীব হত্যা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ ২১ মে
ব্লগার রাজীব হত্যা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ ২১ মে
গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক, স্থপতি ও ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার শোভন হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ ফের পিছিয়ে আগামী ২১ মে ধার্য করেছেন আদালত।
আজ রবিবার এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক (সাঈদ আহমদ) ছুটিতে থাকায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন ভারপ্রাপ্ত বিচারক শাহেদ নূরউদ্দিন।
এ মামলার প্রথম সাক্ষী ও বাদী নিহত রাজীবের বাবা ডা. নাজিম উদ্দিন সাক্ষ্য দিতে এলেও সাক্ষ্য গ্রহণ পেছানোয় ফিরে যান। আসামিপক্ষের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
১১ মে ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রুহুল আমিন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এ বদলি করেন। এর আগে এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাসায় ফেরার পথে পল্লবীর কালশীর পলাশনগরে রাজীব হায়দার শোভনকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ডা. নাজিম উদ্দীন পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফয়সাল বিন নাইম ওরফে দীপু (২২), মাকসুদুল হাসান অনিক (২৬), এহসানুর রেজা রুম্মান (২৩), মো. নাঈম সিকদার ওরফে ইরাদ (১৯), নাফির ইমতিয়াজ (২২), সাদমান ইয়াছির মাহমুদ (২০) ও রেদোয়ানুল আজাদ রানা (৩০)।
আটক আসামিরা এরই মধ্যে আদালতে রাজীব হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে মুফতি জসীমউদ্দিন রাহমানী নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার না করলেও অন্য আসামিরা তাদের স্বীকারোক্তিতে রাহমানীকে রাজীব হত্যার নির্দেশদাতা বলে উল্লেখ করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলার আসামি আনসারুল্লার প্রধান মুফতি জসীমউদ্দিন রাহমানী রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুরে দুটি মসজিদে জুমার খুতবায় ধর্মের বিরুদ্ধে লেখে- এমন ব্লগারদের হত্যার ফতোয়া দিতেন। এ ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা সবাই নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং তারা এ খুতবা শুনতেন। এভাবে তাদের মধ্যে যোগাযোগের সূত্র তৈরি হয়।
অভিযোগপত্রে আরো বলা হয়, জসীমউদ্দিনের লেখা বই পড়ে এবং সরাসরি তার বয়ান ও খুতবা শুনে নাস্তিক ব্লগারদের খুন করতে উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহিত হন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। এরই ধারাবাহিকতায় ব্লগার রাজীব খুন হন। রাহমানীকে এই হত্যায় উৎসাহদাতা হিসেবে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। রাজীব ‘থাবা বাবা’ নামে ব্লগ লিখতেন। যেখানে ধর্মান্ধতা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরোধিতাকারীদের বিপক্ষে লেখা হতো।
২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক নিবারণ চন্দ্র বর্মণ সিএমএম আদালতে ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে ৫৫ জনকে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী করা হয়। ২০১৫ সালের ১৮ মার্চ ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুহুল আমিন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
sahos24.com | Online bangla news portal
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।