- হোম
- >
- আইন-মানবাধিকার
- >
- ঝালকাঠিতে প্রতিহিংসামূলক চাঁদাবাজি মামলা ও অপপ্রচার বেড়েই চলছে
ঝালকাঠিতে প্রতিহিংসামূলক চাঁদাবাজি মামলা ও অপপ্রচার বেড়েই চলছে
ঝালকাঠি প্রতিনিধি
প্রিন্টঅঅ-অ+
ঝালকাঠিতে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের কারণে অথবা কারো প্রতি ক্ষোভের জের ধরে চাঁদাবাজি মামলা ও অপপ্রচার করার প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলছে। এসব অহেতুক অভিযোগ থানায় দিলে থানা পুলিশের সব ঘটনা জানা থাকার কারণে মামলা না নেওয়ায় আদালতের মাধ্যমে মামলা করে হয়রানি করার দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করা হচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, ১১ মে ঝালকাঠির সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জনৈক রেজাউল করীম বাদি হয়ে দুর্নীতি বিষয়ক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় সনদ ও অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত ঝালকাঠির স্বনামধন্য সাংবাদিক মোঃ আতিকুর রহমান এবং বিদেশ ফেরত ব্লগার মনির হোসেনকে আসামী করে চাঁদাবাজি ও তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, সরকারদলীয় এক নারী নেত্রী ও সাংবাদিক নামধারী রেজাউলকে জড়িয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাসে আপত্তিকর মন্তব্য লেখার জন্য ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। ৫ হাজার টাকা দিয়ে বাকি টাকা না দেওয়ায় ফেসবুকের একাধিক ফেইক পেইজে আপত্তিকর অশ্লীল মন্তব্য স্ট্যাটাসে দেওয়া হয়।
এজাহারের কপির সাথে দেয়া প্রমাণপত্রে দেখা গেছে, সাংবাদিক বাংলাদেশ প্রতিদিন নামধারী এসএম রেজাউল করিম এক মেয়ে নিয়ে সন্ধ্যার সময় সরকারি বয়েজ স্কুলের পিছনে এক চিপায় অপ্রীতিকর অবস্থায় ধরা পড়ে। প্রথম জীবনে জামাতে ইসলাম দিয়ে শুরু তারপর জাতীয় পার্টি। মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র। স্বামী থাকে বিদেশ তাই ফাকে পরের বউ নিয়ে একটু বাড়তি আনন্দ। উরতি বয়সের একটু বাড়ি দোলানি। আরেকটি প্রমাণপত্রের কাগজে উল্লেখ করা হয় বিদেশ থাকা স্বামীর কপালে ছেড়া জুতা দিয়ে মেরেছেন। কিভাবে একটি সংসারকে ধ্বংস করে দিয়েছে। মহৎ ব্যক্তির মহৎ কাজ। ওই মহিলাকেই শালা তোর বিয়ে করতে হবে।
এ ধরণের ফেসবুকের ফেইক পেজে দেয়া মন্তব্যের পরে অজানা পত্রিকার সম্পাদক আলহাজ্ব এসএম রহমান কাজল তার পত্রিকায় এবং ফেসবুক পেইজে বিজ্ঞপ্তি আকারে জানিয়ে দেয় “গণমাধ্যম ফেসবুকে এসএম রেজাউল করীমের নামে কয়েকদিন যাবত কুরুচিপূর্ণ ও অশ্লীল পোস্ট প্রচারিত হচ্ছে। ঐ স্ট্যাটাসে দৈনিক অজানা বার্তা’র বার্তা সম্পাদক নামে এসএম রেজাউল করীমের নাম প্রকাশ করা হয়েছে যা সত্য নয়। এসএম রেজাউল করীম নামে আমাদের কোন বার্তা সম্পাদক বা স্টাফ নেই। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনের ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি। অসামাজিক কর্মকান্ডের জন্য জড়িত ব্যক্তিই দায়ী। আমাদের পত্রিকার নাম ব্যবহার করায় অজানা বার্তা পরিবারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা হয়েছে।”
এঘটনার পরপর কিছু হয়নি বলে রেজাউল ও তার সাথের জুটির সাংবাদিক কিছুই হয়নি বলে জানাতে চেষ্টা করে। প্রকৃতির নিয়মে এক কান থেকে দুই কান করে আস্তে আস্তে পুরো শহরবাসী ঘটনাটি জেনে যায়। ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সাংবাদিক না হওয়া সত্ত্বেও পেশাগত কারণে প্রেসক্লাবেও অবাধে যাতায়াত করতো রেজাউল। প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ রেজাউলের কু-কর্মের কথা জানতে পেরে প্রেসক্লাব অভ্যন্তরে প্রবেশে নিষেধ করে। পেশাগত কাজ করতে না পারলেও ভাব-সাব এবং বড়দের কাছে কুকুরের মত লেজ নাড়ানোর স্বভাবে বসুন্ধরা গ্রুপের বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করার সুযোগ পায়।
রেজাউলের এসব অপকর্মে সমর্থন না করার কারণে তার সাথে সাংবাদিক আতিকের সম্পর্কের দূরত্ব সৃষ্টি হয় ৪ বছর পূর্বে ২০১১ সাল থেকে। এরপর থেকে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে সাংবাদিক আতিককে জামায়াত সংশ্লিষ্ট এবং ব্লগার মনিরকে শীর্ষ ইন্টারনেট সন্ত্রাসী সাব্যস্ত করতে আঁদাজল খেয়ে নামে। প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা সচেতন থাকায় রেজাউলের তাঁদের ভুল পথে প্রবাহিত ও দোষী সাব্যস্ত করতে ব্যর্থ হয়। সম্প্রতি রেজাউলের নারী কেলেংকারীর ঘটনাকে আড়াল করতে ব্লগার মনির ও সাংবাদিক আতিকের নামে চাঁদাবাজি এবং তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করে। এছাড়াও ঝালকাঠিতে সাংবাদিক এবং রাজনীতিক সহ বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে স্বার্থ আদায় করতে না পারলেই মামলা করার প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে।
সাংবাদিক আতিক জানায়, ২০১১ সালে রেজাউলের একটি অপকর্মে সমর্থন না করায় সম্পর্কের দূরত্ব সৃষ্টি হয়। সেই থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে রেজাউল আমার নামে অপপ্রচার ও নানান ষড়যন্ত্র করতে থাকে। এ মামলা তারই একটি ষড়যন্ত্রের অংশ বিশেষ মাত্র।
ব্লগার মনির জানায়, রেজাউল এবং তার সাথের একান্ত জুটি সরকার দলের নাম ভাঙিয়ে চলা এসএম রাজ্জাক পিন্টু কিছুদিন পূর্বে আমার কাছে আসে একটি ফেসবুক আইডি হ্যাক করতে। আমি কারো ফেসবুক আইডি হ্যাক করতে পারি না জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে ফাঁসাতে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করে। মামলার বর্ণনায় যে তারিখ দেয়া হয়েছে সে দিন আমি ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে একটি সেমিনারে ছিলাম। যার সকল কাগজপত্র আমার কাছে আছে। দায়েরকৃত মামলাটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন, উদ্যেশ্য প্রণোদিত এবং বানোয়াট।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।