প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রপতির অভিনন্দন
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে তাঁর সরকারের অব্যাহত সাফল্যসহ তাঁর নিজের ও পরিবারের সকল সদস্যের সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু, সুখ-সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেছেন।
তিনি আজ এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রীর সুখ-সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেন। আগামীকাল বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ৩৪ তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনা ১৯৭৫ থেকে দীর্ঘ ৬ বছর নির্বাসন শেষে ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলার মাটিতে ফিরে আসেন। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পুনর্যাত্রার জন্য এটা ছিল এক বিরল ঘটনা। এর ফলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হন। এসময় তাঁর দুই কন্যা পশখ হাসিনা ও শেখ রেহানা তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করায় তাঁরা প্রাণে বেঁচে যান। পরবর্তীতে ৬ বছর লন্ডন ও দিল্লিতে তাঁদের চরম প্রতিকূল পরিবেশে নির্বাসিত জীবন কাটাতে হয়। ১৯৮১ সালে ১৪-১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতে সর্বসম্মতিক্রমে তাঁকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।
রাষ্ট্রপতি বলেন, এ ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তৎকালীন নেতৃবৃন্দের এক দূরদর্শী সিদ্ধান্ত। ১৯৮১ সালের ১৭ মে ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১৯৭২ সালে ১০ জানুয়ারি তাঁর পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মতো তাঁকেও স্বাগত জানাতে লাখো মানুষের ঢল নামে। সেদিন তাঁদের অকৃত্রিম ভালবাসায় সিক্ত হন শেখ হাসিনা।
আবদুল হামিদ বলেন শেখ হাসিনা দেশে ফিরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন শুরু করেন এবং এরই ধারাবাহিকতায় ৯০’র গণআন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের বিজয় হয়। ১৯৯৬ সালের ১২ জুন সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়লাভ করে এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে। এসময় পাহাড়ি-বাঙালি দীর্ঘমেয়াদি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বন্ধে পার্বত্য শান্তিচুক্তি এবং প্রতিবেশী ভারতের সাথে গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তাঁর নেতৃত্বে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনে ১৪ দলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসে এবং জনগণের কল্যাণে নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণ করে।
গণতন্ত্র, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, নারীর ক্ষমতায়ন, বিদ্যুৎ, তথ্যপ্রযুক্তি, গ্রামীণ অবকাঠামো, বৈদেশিক কর্মসংস্থানসহ নানা কর্মসূচি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলতর করে উল্লেখ করে তিনি বলেন,২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি সাধারণ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জোট সরকার পুনরায় ক্ষমতায় এসে সরকার পরিচালনা করছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, এ সময়ে সমুদ্রে বাংলাদেশের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা, ভারতের সাথে দীর্ঘদিনের অমিমাংসিত স্থল সীমানা নির্ধারণ তথা ছিটমহল বিনিময়, পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে বিদ্যুৎ আমদানিসহ গণমানুষের কল্যাণে তাঁর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। দেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করতে তিনি ‘ভিশন ২০২১’ ও ‘ভিশন ২০৪১’ গ্রহণ করেছেন। গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে শেখ হাসিনার এসব যুগান্তকারী কর্মসূচি বাংলার মানুষের হৃদয়ে চির জাগরূক থাকবে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।