জামায়াতসহ ধর্মভিত্তিক সংগঠনগুলোর জন্য বন্ধ হচ্ছে লন্ডনের দরজা
যুক্তরাজ্যে ধর্মীয় চরমপন্থা দমনে নতুন আইন বা পুরনো আইন শক্তিশালী করে সংশোধনীর উদ্যোগে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছে সেখানে বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীসহ মসজিদভিত্তিক রাজনীতি।
এ আইনের ফলে বিশেষ করে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধী দলকে ইস্ট লন্ডনভিত্তিক কার্যক্রম গুটিয়ে নিতে হবে বলে আশা করে প্রবাসীরা বলছেন, তা হলে বাংলাদেশেও অনেক জঙ্গি তৎপরতার অর্থায়ন বন্ধ হয়ে যাবে।
মেয়র লুৎফর রহমানের পদচ্যুতির কথা উল্লেখ করে তারা বলছেন, জামায়াতের পাশাপাশি অন্য যারা ধর্মীয় উস্কানির রাজনীতি করেন তারাও এ আইনে নিয়ন্ত্রিত হতে বাধ্য হবেন। গত ২৩ এপ্রিল ভোটে নির্বাচিত প্রথম ব্রিটিশ-বাংলাদেশী মেয়র লুৎফর রহমানকে পদচ্যুত করে রয়েল কোর্ট অব জাস্টিস। তার বিরুদ্ধে ধর্মীয় কার্ড ব্যবহার করে মুসলিম ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ ছিলো।
ব্রিটেনপ্রবাসী অনেকে বলেছেন, লুৎফর রহমান এক সময় ইস্ট লন্ডন মসজিদকেন্দ্রিক আই.এফ.ই বা ইসলামিক ফোরাম অব ইউরোপের ঘনিষ্ঠজন ছিলেন।
আর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা ও লবিস্ট ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ইসলামী ফোরাম অব ইউরোপের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম বলে দাবি করেছেন টাওয়ার হ্যামলেটস লেবারের ভাইস চেয়ার ও কমিউনিটি এক্টিভিস্ট এডভোকেট আনিসুর রহমান আনিস।
আনিস বলেন, এ সংগঠনটি ব্রিটেনে আমাদের তরুণদের উগ্রধর্মবাদে নেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। শুধু যে বাঙালি তা নয়, পাকিস্তানী, সোমালীসহ অন্য দেশের বংশোদ্ভূভূত তরুণরাও তাদের টার্গেট।
বাংলাদেশে সম্প্রতি মুক্তমনা ব্লগারদের হত্যার কথা উল্লেখ করে এ কমিউনিটি এক্টিভিস্ট বলেন, উগ্রধর্মবাদের ফলেই এসব হচ্ছে। এর সাথে জামায়াতের লন্ডন কানেকশন আছে বলেও তিনি মনে করেন। তাই নতুন আইনে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সন্ত্রাসবিরোধী অন্য দেশগুলোর একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন এডভোকেট আনিস।
sahos24.com | Online bangla news portal
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।