জেলার রামগঞ্জ পৌর শহরের মোহাম্মদিয়া হোটেলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পৌর ৫ নম্বর ওয়ার্ড নন্দনপুর গ্রামের যুবলীগ নেতা জহিরুল ইসলাম প্রকাশ্যে দৈনিক আমার বার্তা সাংবাদিক কবির ইসলামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করেছে। এসময় তাকে বাধা দিতে এলে দৈনিক বাংলাদেশ সময় রামগঞ্জ প্রতিনিধি মোঃ কাউছার হোসেনও আহত হন। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায়। মূমূর্ষবস্থায় কবির ইসলামকে প্রথমে রামগঞ্জ ও পরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। 

সাংবাদিক কাউছার হোসেন ও কবির ইসলামের ছোট ভাই পলাশ জানান, রাত সাড়ে ৮টায় পৌর বাইপাস সড়কের মোহাম্মদিয়া হোটেলের ভিআইপি ক্যাবিনে যুবলীগ সন্ত্রাসী জহিরুল ইসলাম একটি মেয়েকে নিয়ে খেতে বসে। কিছুক্ষন পর সাংবাদিক কবির ইসলাম, কাউছার হোসেনসহ চার বন্ধু মিলে উক্ত ক্যাবিনের আরেক পাশে খেতে বসেন। পরে সাংবাদিক কবির বয়কে ডেকে ক্যাবিনের ভিতরে রাখা প্যাডেষ্টাল ফ্যানটি তাদের দিকে গুরিয়ে দেয়ার জন্য নির্দেশ দিলে যুবলীগ সন্ত্রাসী জহিরুল ইসলাম ফ্যান কেন গুরিয়ে দেয়া হয়েছে বলে গালাগাল শুরু করে। এসময় কবিরের বন্ধুরা তাকে বাধা দিলে সে সাংবাদিক কবিরকে কিলঘুষি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে কবির আত্মরক্ষার্থে তাকে ধাক্কা দিলে জহির দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে বের হয়ে হোটেলের খাবার রুম থেকে একটি ধারালো ছুরি এনে প্রকাশ্যে কবিরকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এসময় সাংবাদিক কাউছার বাধা দিলে সেও ছুরির আঘাতে আহত হন। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন কবির ও কাউছার কে উদ্ধার করে রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতালে নিয়ে আসলে কাউছারকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হলেও কবির ইসলামের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে রাতেই নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন কর্তব্যরত ডাক্তার।

রামগঞ্জ থানার এস আই আমির হোসেনসহ একদল পুলিশ রাতেই হাসপাতালে গিয়ে কবিরের আত্মীয়স্বজনদের মামলার করার পরামর্শ দেন।

এ ব্যপারে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি এমরান হোসেন এমু, ঘটনার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন আমাদের জহিরের সাথে সামান্য ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। জহির বর্তমানে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

এদিকে প্রকাশ্যে সবার সামনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে সাংবাদিক কবির ও কাউছারকে আহত করার ঘটনায়, লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাব, রিপোর্টাস ইউনিট, রামগঞ্জ, রায়পুর, কমলনগর প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ ঘটনার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করার জোর দাবী জানান। 

রামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ লোকমান হোসেন জনান, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে অভিযোগ হাতে পেলে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।