উপজেলায় বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে মজুর সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। এ কারণে পাকা ধান কেটে বাড়ি আনতে পারছেন না কৃষকরা। তারা জানান, যেখানে আগে দৈনিক মজুরি ছিল ৩৫০ টাকা এখন তা দাঁড়িয়েছে ৫০০ টাকায়। ফলে মাত্রাতিরিক্ত মজুরির টাকা জোগাড় করতে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ মৌসুমে পৌর শহরসহ উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে প্রায় ১২ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা ছিল। নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েও এ মৌসুমে বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে। এ উপজেলায় কৃষক সংখ্যা বেশি এবং এসব কৃষক কৃষি মজুরের ওপর নির্ভরশীল। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকায় প্রতি মৌসুমে বিভিন্ন জেলা থেকে এ উপজেলায় শ্রমিক আসেন। চাষাবাদের সময় তারা দৈনিক চুক্তিতে অনেকে মাসিক চুক্তিতেও কাজ নেন। কিন্তু এ মৌসুমে ধান কাটা শুরুতেই শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে।
উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের কৃষক মোঃ শামসু মিয়া বলেন, এ মৌসুমে ১০বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু শ্রমিক সংকটে ধান কাটতে পারছি না। যেখানে ধান কাটার শ্রমিকের মজুরি ছিল ৩৫০ টাকা এখন ৫০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, পৌর শহরের আইঙ্গন, সোমভাগ, খাতরা, সুয়াপুর, কুল্লা, নান্নারসহ উপজেলার বিভিন্ন্ এলাকায় জমিতে ধান পেকে গেছে। ধান কাটা শ্রমিক সংগ্রহে বিভিন্ন স্থানে ঘুরছেন কৃষকরা।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।