মোনালিসার মধ্যে এলিয়েন পুরোহিতের প্রতিচ্ছবি
মোনালিসার সবচেয়ে স্মরণীয় কীর্তিটিতে গুপ্ত সংকেত ও চিহ্নের খোঁজ বারবারই পেয়েছেন গবেষকরা, তৈরি হয়েছে, বাতিল হয়েছে অজস্র তত্ত্ব৷ তবে লিওনার্দো দা ভিঞ্চির মোনা লিসায় ভিনগ্রহের প্রাণীর অস্তিত্বের প্রমাণ আছে, এমন চমকপ্রদ দাবি বোধহয় প্রথম উঠল!
এমনটাই দাবি করেছে দ্য প্যারানর্মাল ক্রুসিবল নামে একটি ওয়েবসাইট৷ তাদের দাবি, মোনা লিসাকে খুঁটিয়ে দেখলে তার মধ্যে নাকি এক 'এলিয়েন পুরোহিতে'র ছবি দেখা যায়৷ সম্প্রতি তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি ভিডিয়োয় মোনা লিসাকে বিশ্লেষণ করে সেই 'এলিয়েন পুরোহিতে'র ছবিও চিহ্নিত করেছে তারা৷ ভিডিয়োয় দেখানো ওই ছবিতে একটি মুখ দেখা যাচ্ছে, যার দুই চোখ ও মুখ রয়েছে, মাথায় মুকুটের মতো একটি বস্তু এবং পরনে জোব্বা৷ তাদের দাবি, দা ভিঞ্চির ছবিতে বরাবরই নানা ধর্মীয় চিহ্ন লুকিয়ে থাকত৷ সে সময় রোমান ক্যাথলিক চার্চের সঙ্গে ভিনগ্রহের প্রাণীদের গোপন যোগাযোগের প্রতীক হতেই পারে এই চিহ্নটি৷
মুখটিতে অবশ্য নানা সিনেমায় এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণীদের যেভাবে কল্পনা করা হয়েছে তারই আদল রয়েছে৷ 'চিহ্নিতকরণের প্রয়োজনে' ভিডিয়োটিতে কালার এনহ্যান্সমেন্ট প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়ার কথা স্বীকারও করেছেন ওয়েবসাইট নির্মাতারা৷ তবে এই তত্ত্বেরও সমর্থক কম পড়েনি আন্তর্জালে৷ অনেকে এর থেকে সিদ্ধান্ত টেনেছেন, দা ভিঞ্চি নিজেই হয়তো এলিয়েন ছিলেন! কারণ তার যেমন বহুমুখী প্রতিভার পরিচয় পাওয়া যায়, তা নশ্বর মানুষের মধ্যে নিতান্তই বিরল৷
ইউএপও সাইটিং ডেইলি ওয়েহবসাইটের নির্মাতা স্কট সি ওয়ারিং যেমন বলেছেন, 'শিল্পকৃতির মধ্যে নানা সংকেত লুকিয়ে রাখার জন্য বিখ্যাত ছিলেন তিনি৷ এই আবিষ্কার থেকে তার অজানা দিকগুলি সম্পর্কে নতুন করে আলোকপাত করবে বলে মনে করি আমি৷ তার অতিমানবিক গুণাবলী হয় তিনি এলিয়েনদের থেকে শিখেছিলেন, নয়তো তার নিজের সঙ্গেই এলিয়েনদের সংযোগ রয়েছে৷
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।