বাবা নেই বলে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ভেঙে যায় মামুনের
খাগড়াছড়ি জেলা সদরের এলাকাগুলোতে প্রায় প্রতিটি অলি-গলিতে শত শত অল্পবয়সী শিশুরা নানান কাজ করতে দেখা যায়।
খাগড়াছড়ি সদরের বাসটার্মিনালের এক পার্শ্বে ময়লা-আবর্জনার ঝোপের মধ্যে থেকে বোতল ও ভাঙ্গাচুরা বস্তায় কুড়িয়ে নিচ্ছে এক কিশোর। তার কাছ গিয়ে কথায় কথায় জানতে পারলাম, তার নাম মামুন (৮)। সে আগে সদরের বাঙ্গালকাটি শব্দমিয়া পাড়ায় থাকত। বর্তমানে সবুজবাগ এলাকাতে অন্যের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসাবে থাকে।
পরিবারের কে আছে জানতে চাইলে জানায়, তারা দুই ভাই আর এক বোন। সে সবার ছোট। বাবা মারা গেছে যখন সে ছোট ছিলো। তার মা এবং বড় ভাই মিলে বোনকে অল্পবয়সেই বিয়ে দিয়ে দেয়। বড় ভাই গাড়িতে চাকুরী করে। পরিবারের উপার্জন করার মতো শুধু বড় ভাই রয়েছে।
পড়াশুনা কতটুকু করেছে জানতে চাইলে মামুন জানায়- সে শব্দমিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২য় শ্রেণীতে পর্যন্ত পড়াশুনা করেছে। ছোট থাকতে বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে পড়াশুনা ছেড়ে দেয়।
মামুন আরো জানায়, বড় ভাই গাড়ি থেকে যা আয় রোজগার করে পায় তা দিয়ে সে নিজের খরচ চালায় আর মাঝে মাঝে মা’কে টাকা পাঠায়। তা দিয়ে কোনরকম সংসারে খরচ ও দু’মুঠো ভাত চলে।
মামুন বলে- আমার একটা স্বপ্ন ছিল পড়াশুনা করে বড় হয়ে ডাক্তার হওয়ার। কিন্তু পরিবারের এই করুণ অবস্থাতে আর পড়াশুনা করা হলো নাতো বরং এখন ভাঙ্গাচুরা বিক্রি করে চলতে হচ্ছে। দৈনিক সে ভাঙ্গাচুরা বিক্রি করে ১০০/- থেকে ৩০০/- পর্যন্ত আয় হয়। মাঝে মাঝে দেখা যায়, বিক্রি করে ১০০/- টাকারও কম হয়। এই টাকা থেকে নিজে কিছু রেখে বাকিটা মাকে দেই।
sahos24.com | Online bangla news portal
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।