‘এখন থেকে নির্বিঘ্নে স্কুল করতে পারবো। স্কুলে মেয়েদের জন্য পৃথক ও সুন্দর একটি বাথরুম হয়েছে। আলাদা টিউবওয়েল ও মটর বসিয়ে বাথরুমে পানির ব্যবস্থা হয়েছে। টাইলস দিয়ে মুড়ে দেয়া হয়েছে গোটা দেওয়াল। 

মাগুরা মহিলা পরিষদের আপারা এ স্কুলের মেয়েদের এ সমস্যার কথা শুনে সবাই মিলে এ বাথরুম করে দিয়েছেন। এখন থেকে যখন তখন ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে যেতে হবে না। গ্রামের স্কুলের ৩শ ছাত্রীর কাছে এ এক বিরাট পাওয়া।’ আজ মঙ্গলবার দুপুরে কথাগুলো বলছিলেন মাগুরা সদরের মাধবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী অনুশা, প্রতিমা ও মৌসুমিসহ অন্যরা । 

মহিলা পরিষদ মাগুরা জেলা শাখার সৌজন্যে প্রায় এক লাখ টাকা ব্যয়ে দীর্ঘদিন পর এ স্কুলে মেয়েদের জন্য পৃথক একটি বাথরুম তৈরী করে দেয়ায় তারা এ রকম উচ্ছাসিত প্রশংসা করেন মহিলা পরিষদের। 

আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যালয় চত্বরে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ মাগুরা জেলা শাখা আয়োজিত নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে  উদ্বুদ্ধকরণ সভার আগে এ কথা বলেন তারা। স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের নিয়মিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে  দুপুরে সদরের মাধবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নারীর প্রতি সহিংসতা, বাল্য বিবাহ, ইভটিজিং প্রতিরোধে স্কুলের ছাত্রীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালানোর আহবান জানানো হয়। 

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহিলা পরিষদের মাগুরা জেলা সভাপতি মমতাজ বেগম, সাধারণ সম্পাদক কাজী লাবনী জামান, অর্থ সম্পাদক সৈয়দা শামসুন্নাহার জ্যোস্না, লিগ্যাল এইড সম্পাদক অ্যাড. সুরাইয়া পারভীন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিরাট কুমার মণ্ডল ছাড়াও স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ। জেলা মহিলা পরিষদ সভাপতি মমতাজ বেগম জানান- মহিলা পরিষদ একটি সম্পূর্ণ অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। আমরা মাগুরা মহিলা পরিষদর কর্মীরা নিজেদের সম্মিলিত সঞ্চয়ের টাকা থেকে এ স্কুলে বাথরুম তৈরী করে দিতে পেরেছি। এটি আমাদের জন্য খুবই আনন্দের।