কালবৈশাখী ঝড়ে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে সুনামগঞ্জ জেলার দিরাইয়তে দেড় শতাধিক গরুর মৃত্যু হয়। এই ঝড়ে গাছপালাসহ ঘরবাড়িরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। দিরাই-মদনপুর সড়কের শরিফপুর ও সাদিরপুরে গাছ উপড়ে পড়ে সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। হাওরে নৌকাডুবিতে এক কৃষক নিখোঁজ ও ঘরচাপায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।

উপজেলার সরমঙ্গল ইউনিয়ন, করিমপুর, জগদল, চরনারচর, ভাটিপাড়া ও রফিনগর ইউনিয়নসহ পৌর শহরের ওপর দিয়ে  সকাল ১০টার দিকে কালবৈশাখী বয়ে যায়।ঘরচাপায় মৃত গুলেনা বেগম (২৩) ভাটিপাড়া গ্রামের জুয়েল মিয়া কাজীর স্ত্রী। নিখোঁজ কৃষকের নাম জালাল মিয়া (৪৫)। তিনি উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের শ্যামারচর গ্রামের মৃত আলী হোসেনের ছেলে।

দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বায়েছ আলম জানান, সকালে নৌকা দিয়ে তিন শ্রমিক কাটা ধান আনতে কালিকুটা হাওর যান। ধান নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে নৌকাটি হাওরের আরমিকা বিলে পৌঁছালে ঝড়ে ডুবে যায়। এ সময় তিন শ্রমিক সাঁতারে তীরে উঠলে জালাল নিখোঁজ হন।

লেগুনাচালক নিজাম উদ্দিন জানান, ঝড়ে দিরাই-মদনপুর সড়কের শরিফপুর ও সাদিরপুর এলাকায় গাছ উপড়ে পড়ে সকাল থেকে এ এ সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।অপরদিকে, উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামে ঘরের ওপর গাছ পড়ে গুলেনা বেগম (২৩) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। ভাটিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন জানান, সকাল ১০টার দিকে হঠাৎ ঝড় শুরু হলে গুলেনার বতসঘরের পাশে থাকা একটি গাছ ঘরের উপর ভেঙে পড়ে। এ সময় গুলেনা ঘরের ভেতরে চাপাপড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।

অন্যদিকে উপজেলার জগদল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জানান, ঘূর্ণিঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে তার ইউনিয়নে ৮টি গরু মারা গেছে এবং শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্তসহ বোরো ফসলের ক্ষতি হয়েছে।