ভারতের শান্তিনিকেতন ও বিশ্বভারতীর পরে এবার বাংলাদেশে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বিশ্বকবির সেই স্মৃতিবিজড়িত শাহজাদপুরে স্থাপিত হতে যাচ্ছে দেশের ৩৫তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৯০ সালে শাহজাদপুরের আসেন এবং ১৮৯৬ সাল পর্যন্ত (৭ বছর) তিনি শাহজাদপুরে অবস্থান করে অসংখ্য কবিতা, জনপ্রিয় ছোটগল্প, নাটক ও গান লিখেছেন।

আগামি ২৫ বৈশাখ (শুক্রবার) শাহজাদপুরের রবীন্দ্র কাছারি বাড়িতে কবির ১৫৪তম রবীন্দ্র জয়ন্তী উৎসব ২০১৫ অনুষ্ঠানের উদ্ভোধন এবং রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ এর ভিত্তিফলক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এদিকে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের খবরে শাহজাদপুর সহ সিরাজগঞ্জবাসীর মাঝে উৎসাহ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আগমন সুষ্ঠু করতে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তা সাথে সাংবাদিকরা এখন এখন ব্যাস্ত সময় পার করছেন। শাহজাদপুরের অধিকাংশ অফিসের পুরানো ভবন গুলোকে চকচকে করা হচ্ছে। সমস্ত শাহজাদপুরকে ঝেড়ে পরিস্কার করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর রবীন্দ্র কাছারী বাড়ী পরিদর্শনের কথা রয়েছে তাই রবীন্দ্র কাছারী বাড়িকে ঝক্‌ঝকে তকতকে করা হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে শাহজাদপুরে এখন সাজ সাজ রব।

জেলা প্রশাসক মোঃ বিল্ল্ল হোসেন জানান, ভারতের শান্তি নিকেতন ও বিশ্বভারতীর আদলে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হবে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিল্প-সাহিত্য বিষয়ে একটি বিশেষায়িত উচ্চ শিক্ষাঙ্গন হলেও এখানে পাশাপাশি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, কৃষি ও বাণিজ্য অনুষদের বিভিন্ন বিষয়ও পড়ালেখার সুযোগ পাবে শিক্ষার্থীরা। মূল ক্যাম্পাস সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ছাড়াও কবির স্মৃতি বিজড়িত কুষ্টিয়ার শিলাইদহ ও নওগাঁর পতিসরে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি অনুষদ কিংবা শাখা ক্যাম্পাস স্থাপিত হওয়ার কথা রয়েছে। আমরা আশা করছি এটি একটি আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হবে।

সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনের সংসদ সদস্য হাসিবুর রহমান স্বপন বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবীতে শাহজাদপুর তথা সিরাজগঞ্জবাসী দীর্ঘদিন আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। এরই ফলশ্রুতিতে প্রধানমন্ত্রী সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার এক জনসভায় শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ঘোষণা দেন। প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষনার পর সরকারের উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি শাহজাদপুরে সরেজমিনে গিয়ে ইতোমধ্যেই স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য সম্ভাব্য স্থান দেখে যান। আগামী ২৫ বৈশাখ কবির ১৫৪তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এটির ভিত্তিফলক উন্মোচনের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি  আরও বলেন, পোতাজিয়া ইউনিয়নের রাউতারা মৌজায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নিজস্ব ১৪০০ একর জমি ছিল। যা এখন খাস জমিতে পরিণত হয়ে গো-চরান ভুমি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এখান থেকে  ২০০ একর জমি রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে।

sahos24.com | Online bangla news portal