- হোম
- >
- কৃষিজ ও প্রাণিজ
- >
- লক্ষ্মীপুর জেলার উপকূলীয় অঞ্চলে সয়াবিন চাষে সাফল্য
লক্ষ্মীপুর জেলার উপকূলীয় অঞ্চলে সয়াবিন চাষে সাফল্য
লক্ষ্মীপুর জেলায় সোনার ফসল সয়াবিন চাষে এবার সাফল্য এসেছে কৃষকদের ঘরে ঘরে। বিগত বছর সয়াবিনের সবুজ চারাগাছ হাতছানি দিয়ে ডাক দিয়েছিল । সেই ডাকে সাড়া দিয়ে এবার বাম্পার ফলনে কৃষকের চোখে-মুখে এখন আনন্দের জোয়ার।
দেশের উৎপাদিত সয়াবিনের ৮০ ভাগ চাষ হয় লক্ষ্মীপুর জেলায়। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ব্যাপক আকারে চাষ হয়েছে সয়াবিনের।
লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি ও কমলনগরের চরাঞ্চলে যতদূর চোখ যায় মাঠের পর মাঠ সয়াবিনের চাষ করে এ অঞ্চলের কৃষকরা আর এ ফসল নিয়ে কৃষকদের চোখে-মুখে এখন রঙিন স্বপ্ন।
কৃষি কর্মকর্তারা জানান, প্রতিবছর এ অঞ্চলে কোটি কোটি টাকা সয়াবিনের ওপর লেনদেন হয়। এজন্য এটিকে কৃষকরা ‘সোনার ফসল’ বলে থাকেন। সয়াবিন বদলে দিয়েছে উপকূলীয় বাজার ও আশপাশ এলাকার মানুষের জীবন যাত্রার মান। এ ফসল বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়েছেন হাজার হাজার কৃষক। ঢাকা ও চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রতিষ্ঠানে সয়াবিন তেল ও পোল্ট্রি খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এখানে সয়াবিন কেনার জন্য ছুটে আসেন।
কৃষকদের দাবি- উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে সয়াবিনভিত্তিক কারখানা স্থাপন ও দাদন ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ করা হয়, তাহলে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পেয়ে সয়াবিন চাষে ব্যাপকভাবে আরও আগ্রহী হয়ে উঠবেন। পাশাপাশি হাজার-হাজার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হবে ।
রামগতি উপজেলার চরলক্ষ্মী গ্রামের কৃষক আবদুর রহিম বলেন, এবারের মতো এত সয়াবিন আর কখনো দেহি নাই। ক্ষেত থেইক্কা ফসল পাইছি কিন্তু বাজারে উপযুক্ত মূল্য পাওনটা আমাদের সার্থকতা।
এ ব্যাপারে রামগতি বাজারস্থ সয়াবিন ব্যবসায়ী মো. আলতাফ হোসেন ও সানা উল্ল্যাহ জানান, চলতি বছর সয়াবিন আবাদ বেশি হয়েছে। ক্ষেতে রোগ বালাইও এ বছর কম। আবহাওয়া সম্পূর্ণ অনুকূলে থাকায় কৃষকরা বাম্পার ফলন ঘরে তুলেছে।
রামগতিতে রেকর্ড পরিমাণ সয়াবিন উৎপাদন হলেও গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটের কারণে সয়াবিন ভিত্তিক কোনো শিল্প গড়ে উঠছে না।
রামগতি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবব্দুস ছোবাহান জানান, চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ অর্জিত হয়েছে। কৃষকরা সঠিক সময়ে সয়াবিন ক্ষেতে সার কীটনাশক ব্যবহার, পোকা দমনে জৈবিক প্রক্রিয়া প্রয়োগ করায় ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার সয়াবিন উৎপাদন অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। এ উপজেলায় এবার ১৮ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে সয়াবিন চাষাবাদ করা হয়েছে যা বিগত বছরের তুলনায় অনেক বেশি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশে উৎপাদিত সয়াবিনের ৮০ ভাগ উৎপাদন হয় লক্ষ্মীপুর জেলায়। গত বছর জেলায় ৪৬ হাজার ৩’শ ৬০ হেক্টর জমিতে সয়াবিন চাষাবাদ করা হলেও এ বছর উৎপাদন আরো ছাড়িয়ে যাবে।
সদরসহ ৫টি উপজেলার মধ্যে রায়পুর, কমলনগর ও রামগতিতে বেশি জমিতে চাষাবাদ হয়েছে।
উল্লেখ্য: উপকূলীয় অঞ্চলের চাষীদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণ ও সহজে বাজারজাতকরণের জন্য স্থানীয়ভাবে সয়াবিন ভিত্তিক শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই।
sahos24.com | Online bangla news
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।