জামানত বাজেয়াপ্ত হল যাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল, ২০১৫
প্রিন্টঅঅ-অ+
ব্যপক কারচুপি আর জাল ভোটের উৎসবের মধ্যে দিয়ে শেষ হওয়া তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়রপ্রার্থীদের মধ্যে ৪২ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। কেননা, তারা আইনে নির্ধারিত সংখ্যার চেয়ে কম ভোট পেয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপ-সচিব মো. সামসুল আলম বলেছেন, যেসব প্রার্থী একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোট না পাবেন তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। এক্ষেত্রে নির্বাচন বিধিমালায় নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে।
সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিধিমালার বিধি ৪১’র উপবিধি ৩ অনুযায়ী, ‘ভোটগ্রহণ বা ভোটশেষ হওয়ার পর যদি দেখা যায়- কোনো প্রার্থী সংশ্লিষ্ট নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের এক অষ্টমাংশ অপেক্ষা কম ভোট পেয়েছেন, তাহলে তার জামানতের টাকা সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে’।
ঢাকা উত্তর
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ৮ লাখ ৭৪ হাজার ৫৮টি। এর এক অষ্টমাংশ হচ্ছে ১ লাখ ৯ হাজার ২৫৭টি ভোট।
ডিএনসিসি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে তাবিথ আউয়াল ও আনিসুল হক ছাড়া কোনো প্রার্থীই ২০ হাজারের বেশি ভোট পায়নি। নির্বাচনী বিধিমালা অনুযায়ী, ডিএনসিসির ১৬ প্রার্থীর মধ্যে ১৪ প্রার্থীই তাদের জামানত হারাচ্ছেন।
উত্তরে যাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে তারা হলেন- আবদুল্লাহ আল ক্বাফী, এ ওয়াই এম কামরুল ইসলাম, কাজী মো. শহীদুল্লাহ, চৌধুরী ইরান আসাদ সিদ্দিকী, নাদের চৌধুরী, বাহাউদ্দিন আহমেদ সরকার, মাহী বি. চৌধুরী, মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ, মো. আনিসুজ্জামান খোকন, মো. জামান ভূঁইয়া, মো. জোনায়েদ আবদুর রহিম সাকি, মো. শামসুল আলম চৌধুরী, ফজলে বারী মাসউদ ও শেখ শহিদুজ্জামান।
ঢাকা দক্ষিণ
ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ৯ লাখ ৫ হাজার ৪৮৪টি। এর এক অষ্টমাংশ হচ্ছে ১ লাখ ১৩ হাজার ১৮৫ ভোট। কিন্তু দক্ষিণে মেয়র পদে ২০ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে মির্জা আব্বাস ও সাঈদ খোকন ছাড়া কোনো প্রার্থীই লাখের ঘর অতিক্রম করতে পারেননি। ফলে অবশিষ্ট ১৮ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।
যেসব প্রার্থী প্রদত্ত ভোটের এক অষ্টমাংশ ভোট পাননি, তারা হলেন- আবদুর রহমান, এ এস এম আকরাম, আবু নাছের মুহাম্মদ মাসুদ হোসাইন, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আয়ুব হোসেন, এস এম আসাদুজ্জামান রিপন, দিলীপ ভদ্র, বজলুর রশীদ ফিরোজ, মশিউর রহমান, মোহাম্মদ শফি উল্লাহ চৌধুরী, হাজি মো. সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, মো. আক্তারুজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লাহ, মো. আবদুল খালেক, মো. গোলাম মাওলা রনি, মো. জাহিদুর রহমান, মো. বাহারানে সুলতান বাহার, মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, মো. শহীদুল ইসলাম ও শাহীন খান।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ৮ লাখ ৬৮ হাজার ৬৬৩টি। এর এক অষ্টমাংশ হচ্ছে ১ লাখ ৮ হাজার ৫৮৩ ভোট। কিন্তু এ নির্বাচনে আ. জ. ম. নাছির উদ্দিন ও মোহাম্মদ মনজুর আলম ছাড়া বাকি ১০ প্রার্থীর কোনো প্রার্থী প্রদত্ত ভোটের এক অষ্টমাংশ ভোট পাননি। ফলে তাদেরও জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।
যারা জামানত হারাচ্ছেন, এমন প্রার্থীরা হলেন- আরিফ মইনুদ্দীন, এম এ মতিন, শফিউল আলম, মো. আবুল কালাম আজাদ, মো. আলাউদ্দিন চৌধুরী, মো. ওয়াজেদ হোসেন ভূইয়া, মো. সোলায়মান আলম শেঠ, সাইফুদ্দিন আহমেদ রবি, সাজ্জাদ জোহা ও হোসাইন মো. মুজিবুল হক।
নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী, কোনো সিটি করপোরেশনে ভোটার সংখ্যা ২০ লাখের কম হলে মেয়র প্রার্থীদের ৫০ হাজার টাকা এবং ২০ লাখের বেশি ভোটার হলে ১ লাখ টাকা জামানত দিতে হয়। এক্ষেত্রে উত্তরের ১৪ প্রার্থীকে ১ লাখ টাকা করে বাজেয়াপ্ত হবে। এছাড়া চসিক ও উত্তরের প্রার্থীদের ৫০ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত হবে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।