কেন্দ্র দখল, জাল ভোট ও কারচুপির অভিযোগ এনে তিনি সিটি নির্বাচন বাতিল ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদসহ সব কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করেছে আদর্শ ঢাকা আন্দোলন।

বুধবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করে তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সংগঠনের সদস্যসচিব শওকত মাহমুদ।

সংবাদ সম্মেলনে আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের আহ্বায়ক অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, “একবার যদি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হতো, তাহলে আগামী দিনেও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হতো। গণতন্ত্রও পূর্ণতা পেত।” এই নির্বাচনের মাধ্যমে তারা সংলাপের কাজটি করতে চেয়েছিলাম বলে জানান তিনি।

সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো কর্মসূচি দেয়ার চিন্তা তাদের নেই জানিয়ে শওকত মাহমুদ বলেন, “আশা করি আমাদের দাবিগুলো সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বোধগম্য হবে। আমরা আদর্শ ঢাকা গড়ার জন্য ইশতেহার দিয়েছিলাম। সে লক্ষ্যেই কাজ করেছি।”

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের ফোনালাপের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শওকত মাহমুদ বলেন, “নির্বাচন বর্জনের বিষয়ে যে ফোনালাপ প্রকাশের কথা বলা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। নির্বাচন বর্জনের কোনো পরিকল্পনাই আমাদের ছিল না। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রেই, প্রায় ৯০ শতাংশ এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করেই নির্বাচন থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের এই সদস্য সচিব বলেন, “ নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ছাত্রলীগ, যুবলীগের ক্যাডারদের স্বেচ্ছাচারিতায় পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াটি আবর্জনায় পরিণত হয়েছে। এই রকমভাবে প্রকাশ্যে ভোট চুরি ও ডাকাতির ঘটনায় আমরা বিস্মিত, গোটা জাতি হতভম্ব। আমরা উৎকন্ঠিত। আমরা আতংকিত। আমরা উদ্বিগ্ন দেশের ও গণতন্ত্রের ভবিষৎ নিয়ে।”

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ, কবি আবদুল হাই শিকদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান প্রমুখ।

sahos24.com | Online bangla news