বিশ্বের ভয়াবহ ভূমিকম্প
বিশ্বের ভয়াবহ ১০টি ভূমিকম্প এবং আরও কিছু ভয়াবহ ভূমিকম্পের কথা ‘সাহস’-এর পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
১. সেনসেই, চীন
১৫৫৬ সালের ২৩ জানুয়ারি চীনের সানজি (সাবেক সেনসেই) প্রদেশের রাজধানী জিয়ানে ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত হয় প্রায় ৮ লাখ ৩০ হাজার। এই ভূমিকম্পে ব্যাপক ভ’মিধস হয়। শহরের বড় বড় সব ভবন মাটির সঙ্গে মিশে যায়।
২. তাংশান, চীন
১৯৭৬ সালের ২৭ জুলাই ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এতে নিহতের সংখ্যা ৬ লাখ ৫৫ হাজার। তবে সরকারি হিসেবে এই সংখ্যা ২ লাখ ৫৫ হাজার। ওই ভূমিকম্পের আঁচ বেইজিংয়েও পড়ে।
৩. আলেপ্পো, সিরিয়া
বর্তমানে যুদ্ধবিধস্ত দেশ সিরিয়ায় সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প হয়েছিল ১১৩৮ সালের ৯ আগষ্ট। ওই ভূমিকম্পের মাত্রা কত ছিল সেটা জানা যায়নি। তবে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ২ লাখ ৩০ হাজার।
৪. সুমাত্রা, ইন্দোনেশিয়া
তারিখ ছিল ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর। ৯দশমিক ৮ মাত্রার ভ’মিকম্পে প্রাণ যায় ২ লাখ ২৭ হাজার ৮৯৮ জনের। ১৭ লাখ মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে। দক্ষিণ এশিয়া ও পূর্ব আফ্রিকার ১৪টি দেশে এর প্রভাবে সুনামি হয়। এই ইন্দোনেশিয়ায় ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে ঘটা ভূমিকম্পে নিহত হয় ২ লাখ ৮৬ হাজার।
৫. হাইতির ভূমিকম্প
২০১০ সালের ১২ জানুয়ারি রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে মারা যায় ২ লাখ ২২ হাজার ৫৭০ জন। আহত হয় ৩ লাখ এবং প্রায় এক লাখ বাড়ি ধ্বংস হয়।
৬. দামঘান, ইরান
৮৫৬ সালের ২২ ডিসেম্বর ইরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শহর দামঘানে এই ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে। এর মাত্রা সম্পর্কে কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে নিহতের সংখ্যা ছিল প্রায় ২ লাখ।
৭. হাইজুয়ান, নিংজিয়া, চীন
১৯২০ সালের ৬৭ ডিসেম্বর এই উল্লেখিত অঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প ঘটে। হাইজুয়ানে নিহত হয় ৭৩ হাজার। গুয়ান কাউন্টিতে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩০ হাজারে। লংদি এবং হুইজিয়াংয়ের প্রায় সব ভবনই ধ্বং হয়ে যায়।
৮. আরদাবিল, ইরান
৮৯৩ সালের ২৩ মার্চ ঘটা ওই ভূমিকম্পে জীবন যায় প্রায় দেড় লাখ মানুষের। ১৯৯৭ সালেও এই এলাকায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের ঘটনার ঘটে।
৯. কান্তো, জাপান
১৯২৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর ৭ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহত হয় ১ লাখ ৪২ হাজার ৮০০ জন। ভূমিকম্পের কারণে বিভিন্ন ভবনে অগ্নিকান্ডে অগ্নিদগ্ধ হয় ৩ লাখ ৮১ হাজার। ৬ লাখ ৯৪ হাজার বাড়ি ধ্বংস হয়।
১০. আশগাবাত, তুর্কেমেনিস্তান
১৯৪৮ সালের ৫ অক্টোবর ৭ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পে ১ লাখ ১০ হাজার মানুষের প্রাণ যায়। আশগাবাতের বিভিন্ন গ্রাম মোটামুটি ধ্ব্ংস হয় বিশেষ করে ইটের তৈরি ঘর সবই ধ্বংস হয়ে যায়।
এছাড়া আরো কিছু ভূমিকম্প
২২ মে ১৯৬৭, চিলি
৯ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহত হয় প্রায় সাড়ে চার হাজার। আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে প্রায় ২০ লাখ মানুষ। সুনামিতে পোর্ট অব পুয়েত্রো বন্দর প্রায় ধ্বংস হয়ে যায়।
২৮ মার্চ, ১৯৬৪ আলাস্কা
রিখটার স্কেলে ৯ দশমিক মাত্রার ভূমিকম্পে প্রিন্স উইলিয়াম সাউন্ডে নিহত হয় ১২৮ জন। ৩১১ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়।
৪ নভেম্বর, ১৯৫২, কামসাতকা
রাশিয়ার এই উপত্যকায় ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৯। এতে নিহত হওয়ার কোনো খবর না পাওয়া গেলেও লাখ লাখ ডলারের সম্পদের ক্ষতি হয়।
১৩ আগষ্ট ১৮৬৮, আরিকা, পেরু (বর্তমানে চিলির অংশ)
৯ মাত্রার ভূমিকম্পে জীবন যায় ২৫ হাজার মানুষের। বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়।
১৩ জানুয়ারি ১৯০৬
ইকুয়েডর এবং কলম্বিয়ায় ৮ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে ৫শ থেকে ১৫ শত নিহত হয়। উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষতি হয়।
১৫ আগষ্ট, ১৯৫০
আসাম এবং তিব্বতে এই দিনের ভূমিকম্পে ১ হাজার ৫২৬ জন নিহত হয়। বহু ভবন বিধ্বস্ত হয় এবং হাজার হাজার মানুষ আহত হয়।
sahos24.com | Online bangla news portal
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।