বর্ষবরণে নারীদের যৌন হেনস্তার প্রতিবাদে নেই ছাত্রলীগ
বর্ষবরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি এলাকায় নারীদের যৌন হেনস্তার ঘটনার পর থেকেই জড়িতদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনার দাবি উঠেছে সারা দেশে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ, মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন ঢাবিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন রাজনৈতিক, নারী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো। প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষও। তবে এসব প্রতিবাদে এখনো দেখা যায়নি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের।
ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কেবল একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ জানান, পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ শেষ হলেই কর্মসূচি দেওয়া হবে।
তবে ঘটনার ১৩ দিন পেরিয়ে গেলেও ‘পর্যবেক্ষণ’ শেষ হয়নি।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রায় প্রতিদিনই প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ চলছে। এদের মধ্যে ছাত্র ইউনিয়ন ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত টানা কর্মসূচি দিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেওয়া, অপরাজেয় বাংলা থেকে কার্জন হল পর্যন্ত মানববন্ধন পালন ছাড়াও প্রক্টরের পদত্যাগ ও সুষ্ঠু তদন্তের জন্য কয়েক দফা সংবাদ সম্মেলন করেছে তারা।
অন্যদিকে, বষর্বরণের অনুষ্ঠানে যৌন হেনস্তাকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বর্ষবরণের দিন বিকেলে জবি বাসে ফেরার সময় ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করেন ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল। এ সময় নাজমুল গণধোলাইয়ের শিকার হন। ঘটনার পর এ অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সপ্তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাজমুলকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এ ছাড়া উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের আদিবাসী ছাত্রী লাঞ্ছিতের ঘটনায় ছাত্রলীগের আট নেতাকর্মীকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে জাবি শাখা ছাত্রলীগ।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে বহিষ্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যারা সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট করা মতো কাজ করবে, তাদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।’
এদিকে, গত শুক্রবার ঢাবির বিভিন্ন হলের ছাত্রলীগ নেত্রীরা মানববন্ধন করতে চাইলেও কোনো এক অজানা কারণে শেষ পর্যন্ত পিছু হটেন তাঁরা।
এদিকে, এ ঘটনার পর ১৩ দিন পেরিয়ে গেলেও দোষীদের এখনো খুঁজে বের করতে পারেনি পুলিশ প্রশাসন। আর এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষক-শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সচেতন মহলের সবাই।
sahos24.com | Online newspaper
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।