উপ-মহাদেশের সংগ্রামী নরীনেত্রী কমরেড মঞ্জরী গুপ্তের স্মরণসভা করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। উদীচীর কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি কামাল লোহনী’র সভাপতিত্বে এ সভায় কমরেড মঞ্জরী গুপ্তের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে উদীচী।

গত ২৩ এপ্রিল উদীচীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় জীবনী পাঠ করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সম্পাদকম-লির সদস্য প্রদীপ ঘোষ। ‘আমার মুক্ত আলোয় আলোয়’ গান দিয়ে শুরু হয় সভা। গান পরিবেশন করেন উদীচীর শিল্পীরা এবং বক্তব্য রাখেন উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদের সাভাপতি কাজী মোহাম্মদ শীষ, শিক্ষাবিদ এ এন রাশেদা ও নাট্যব্যাক্তিত্ব শংকর সাওজাল। সভা পরিচালনা করেন সংসগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রবীর সরদার।

প্রয়াত এ নারীনেত্রী ছিলেন ভারতের গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভানেত্রী ও গণতান্ত্রিক আইনজীবী সংগঠনের নেত্রী। ১৪ই এপ্রিল ২০১৫ সকালে দক্ষিণ কলকাতার যোধপুর পার্কের বাসভবনে তিনি প্রয়াত হন। ১৯২৪ সালের একই দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এদিনই ছিল তাঁর ৯১তম জন্মদিন। বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁর বার্ধক্যজনিত শারীরিক কিছু অসুস্থতা ছিল। পরিবারে স্বামী রাজ্যের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল সাধন গুপ্ত, পুত্র, পুত্রবধূ, চার কন্যা ও জামাতা, নাতি-নাতনি বর্তমান। আমৃত্যু তিনি ছিলেন সি পি আই (এম)-র সদস্যা।

কমরেড মঞ্জরী গুপ্ত সাহিত্য- সংস্কৃতি ক্ষেত্রেও উজ্জ্বল পরিচয় রেখেছেন। ১৯৬৮ সালের মার্চ থেকে গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির মুখপত্র ‘একসাথে’ পত্রিকার অন্যতম সংগঠকের ভূমিকা পালন করতে থাকেন। দীর্ঘদিন পত্রিকার সম্পাদনার কাজ করেছেন। আমৃত্যু তিনি একসাথে পত্রিকার সহ-সম্পাদিকা ছিলেন। অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ তিনি লিখেছেন পত্রিকায়। নারীর অধিকার ও আইন এবং সামাজিক পরিক্রমার অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি ‘একুশ শতকের ভাবনা’ এবং ‘দেখা না দেখা’ এই দুটি গ্রন্থ রচনা করেছেন।