এবার নারীবিদ্বেষীদের তোপের মুখে জাগরণীয়া সম্পাদক
সম্প্রতি পহেলা বৈশাখের দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে নারীদের উপর যৌন নির্যাতনকে কেন্দ্র করে নারী বিষয়ক পোর্টাল জাগরণীয়ার সম্পাদক শুভ্রা কর’কে নানা রকম হুমকি প্রদান করছে নারীবিদ্বেষী বিভিন্ন মহল।
পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে নারীদের উপর পরিকল্পিতভাবে যৌন নির্যাতনের ঘটনার পর প্রতিবাদের ঝড় ওঠে মিডিয়া, অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সাধারণ মানুষের মাঝে। আর এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করে নারীবিদ্বেষীদের তোপের মুখে পড়েছেন নারী বিষয়ক পোর্টাল জাগরণীয়ার সম্পাদক শুভ্রা কর। বিভিন্ন ফেসবুক আইডি এবং পেইজ ছাড়াও মোবাইল ফোনে কল করে তাকে নানা ধরনের মিথ্যা অপবাদ ও হুমকি প্রদান করা হচ্ছে। কয়েকটি ফেসবুক আইডি এবং পেজ থেকে তাকে 'ইসলাম বিদ্বেষী সাম্প্রদায়িক হিন্দু নারী’ আখ্যায়িত করে তার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধর্মীয় গোষ্ঠিকে ক্ষেপিয়ে তোলা হচ্ছে। ফেসবুকের বিভিন্ন পোষ্টে তার নাম, ঠিকানা, ফোন নাম্বার, ছবি দিয়ে সবাইকে চেনে রাখার নির্দেশনাও দেওয়া হয়।
অপবাদ ছড়ানো এবং হুমকি প্রদানের ব্যাপারে জানতে চাইলে জাগরণীয়া সম্পাদক শুভ্রা কর বলেন- পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীর প্রতি অন্যায় নতুন কিছু নয়। নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে যারা কথা বলেন তাদের প্রতি এই সমাজের বিদ্বেষও নতুন নয়। কিন্তু এই সবকিছুর মধ্য দিয়েই অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই চলছে এবং চলবে। যেদিন পুরুষ কেবল পুরুষের গণ্ডি পেরিয়ে মানুষ হয়ে যাবে, সেদিন তারাও বুঝে যাবে যে নারী শুধু নারীই নয়, মানুষ। যতদিন তা না হচ্ছে ততদিন আন্দোলন-প্রতিবাদ থেকে পিছিয়ে আসার কোন উপায় নেই। যতই বিদ্বেষ ছড়ানো হোক, আর যতই হুমকি দেয়া হোক আমরা সত্য এবং ন্যায়ের কথা বলবই।
কেনো টার্গেট করে আপনার বিরুদ্ধে এই মহল উঠেপড়ে লেগেছে, এমন প্রশ্নের জবাবে শুভ্রা কর বলেন- আমাদের দেশে ধর্মীয় পরিচয় একটি বড় ইস্যু। কেউ ধর্ম মানে বা না মানে তাকে সেই ইস্যুর শিকার হতেই হয়। তাই আমাকে কেন্দ্র করে এই ইস্যু সৃষ্টি করার জন্য তারা ধর্মকে টেনে এনে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। আমি কাউকে ছোট করছি না কিন্তু নানাভাবে নানা ক্ষেত্রে অনেকের মধ্যেই আপোষের একটা ব্যাপার দেখা যায়। আমাদের জাগরণীয়া কখনো সেই আপোষের জায়গায় যায়নি। এটাও তাদের জন্য একটা বড় ক্ষোভের কারণ হতে পারে। আমার মনে হয় এই বিদ্বেষ যতটা না ব্যক্তি শুভ্রার প্রতি, তার চেয়েও অনেক বেশি জাগরণীয়ার দৃঢ়তা ও চেতনার প্রতি।
এই পরিস্থিতিতে আইনের আশ্রয় গ্রহণ করার ব্যাপারে তিনি বলেন- আইনগতভাবে যে অভিযোগ দাখিল করার সেটা করবো। যদিও তাতে কতটুকু লাভ হবে আমি সন্দিহান। কারণ এর আগে এ ধরনের হুমকি-ধামকির ব্যাপারে আমরা কখনোই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে খুব তৎপর ভূমিকা পালন করতে দেখি নাই।
একদিন নারীরা এই দেশে অবশ্যই নিরাপত্তার সাথে অধিকার নিয়ে বসবাস করবে বলে আশাব্যক্ত করে জাগরণীয়া সম্পাদক সমাজের সকল মানুষকে নারীর উপর নির্যাতন কারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার অনুরোধ জানান।
sahos24.com | Online newspaper
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।