ভাভরিঙ্কা ও ইলহামের বিবাহ-বিচ্ছেদ
ক্যারিয়ারের কথা ভেবে শেষ পর্যন্ত বিবাহের বন্ধনটা অটুট রাখতে পারলেন না স্টানিসলাস ভাভরিঙ্কা। টিভি উপস্থাপক ও মডেল ইলহামের সঙ্গে ৬ বছরের বৈবাহিক সম্পর্কের ইতির কথা আনুষ্ঠানেকভাবেই জানালেন সুইজারল্যান্ডের এ টেনিস তারকা।
২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপাজয়ী ভাভরিঙ্কা ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে ইলহামের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু তারা একসঙ্গে থাকতেন তারও চার বছর আগ থেকে। এতে বিবাহের মাত্র তিন মাস পর কন্যা সন্তানের বাবা হন ভাভরিঙ্কা। কন্যা অ্যালেক্সিয়ার জন্মের পর ২০১১ সালে একবার তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তবে সমঝোতার মাধ্যমে ফের তারা দু’জন একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন। তবে এবার তারা চূড়ান্তভাবেই বিচ্ছিন্ন হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। তারা দু’জন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সম্পূর্ণ নিজেদের ক্যারিয়ারের কথা ভেবে। আর ভাভরিঙ্কার পরিবারের চাপও এজন্য দায়ি বলে খবরে জানা গেছে।
বেশ কয়েকদিন ধরে তাদের বিচ্ছেদের জল্পনা-কল্পনার খবর সংবাদমাধ্যমে ছিল। এই দুশ্চিন্তার মধ্যে ক’দিন আগে মন্টে কার্লো মাস্টার্সের তৃতীয় রাউন্ডে গ্রিগর দিমিত্রভের কাছে হেরে বিদায় নেন তিনি। এতে ২০১০ সালে মে’র পর র্যাতঙ্কিংয়ে সেরা দশের বাইরে যাওয়ার শঙ্কা জেগে উঠেছে তার। বর্তমান ভাভরিঙ্কা র্যালঙ্কিংয়ের দশমে। ভাভরিঙ্কার পরিবার তাদের এ বিবাহের সম্পর্ক চান না। এমন টানেপোড়েন ভাভরিঙ্কার ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে ভাভরিঙ্কা নিজেই মনে করেন।
বিবাহ বিচ্ছেদ হলেও ইলহামের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে ভাভরিঙ্কা বলেন, ‘ইলহামের সঙ্গে জীবনের দারুণ দশটি বছর কাটিয়েছি। আমি সব সময় তাকে নিয়ে একটি পরিবার সৃষ্টি করতে চেয়েছি। কিন্তু মাঝেমাঝে জীবন এমন চ্যালেঞ্জের হয়ে ওঠে যা কখনোই কাম্য নয়। তবে ইলহাম সব সময় আমার সন্তানের মা হয়ে থাকবে। তার জন্য আমার অনেক ভালবাসা ও সম্মান।’
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।