নারী লাঞ্ছনার বিরুদ্ধে সংগ্রাম পুঁজিবাদকেও আঘাত করে
মোহাম্মেদ নাসের
প্রিন্টঅঅ-অ+
প্রিয় প্রফেসর জাফর ইকবাল
আমি আপনার একজন ভক্ত। আপানার সততায় আমার কোন অবিশ্বাস নেই। আপানাকে বরাবর দেখেছি- মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অনেক উপাদানে আপানার ভূমিকা খুব বলিষ্ঠ, স্পষ্ঠ। নববর্ষের নারী লাঞ্ছনার ঘটনায় আপানি যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন তা একজন সত্যিকার বুদ্ধিজীবীর। আপানার লেখা পড়ে আবেগে আপ্লুত হয়েছি। তা সত্ত্বেও বলতে হচ্ছে -আপনার রাজনৈতিক লেখায় রাষ্ট্র-সম্পর্কিত চিন্তার ভয়ানক দুর্বলতা স্পষ্ট। এই লেখায়ও সেটা ধরা পড়েছে। তাই দুর্বলতা পুরা জাতিকে ভোগাচ্ছে। জানি না, আর কতকাল ভোগাবে--
নারী লাঞ্ছনার বিরুদ্ধে সংগ্রাম প্রকৃতপক্ষে সমাজের গভীরতম-হীনতম বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম
নারী লাঞ্ছনার বিরুদ্ধে সংগ্রাম প্রকৃতপক্ষে সমাজের গভীরতম-হীনতম বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম। এই লড়াই কেবল মৌলবাদকে না পুঁজিবাদকেও আঘাত করে। মনে রাখতে হবে--এই বৃটিশ- সৃষ্ট রাষ্ট্র কেবল সাম্প্রদায়িক নয়, নারী নির্যাতনকারী। তাকে চুনকাম করে নয়,তার আমূল প্রতিস্থাপন করেই আমারা কেবল নারী্বান্ধব সমাজ সৃষ্টি করতে পারব।ক্ষিতিমোহন সেনের (“বাংলার সাধনা”) লেখা থেকে জানতে পারি -- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রায় বলতেন, বাংলার পলি মাটিতে কখনো উত্তর ভারতের মত কঠিন শাস্ত্র জমাট বাধে নি, “মানবপন্থী বাংলাদেশ প্রাচীনকালেও ভারতের শাস্ত্র-পন্থী সমাজ নেতাদের কাছে নিন্দনীয় ছিল।……..তার মানে বাংলাদেশ চিরদিন শাস্ত্রগত সংস্কারমুক্ত।…..কাজেই এখানে শাস্ত্রগত বা সাম্প্রদায়িক সংকীর্ণতার কোন স্থান নেই”। এই পলি মাটি, খাল-বিল-নদী-হাওড়-বাওড়-সমদ্র যেমন তাকে দিয়েছিল অফুরন্ত সম্পদ, আকাশ ছোঁয়া আবেগ-কল্পনা, তার মাটিতে জায়গা দিয়েছে মানব জাতির সকল রক্তের তেমনি তারাই তাকে যৌক্তিক করে নি, একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে সাহায্য করেছে, শক্তিশালী রাষ্ট্র নির্মাণ করতে দেয় নি, যার ফলে দস্যু-বেনিয়ারা তাকে লুণ্ঠন করেছে বারবার।
বৈজ্ঞানিক চেতনার ঘাটতি নিয়ে কেবল আবেগ ভর করে একটা জাতি আধুনিক হতে পারে না। সম্ভবত বৈজ্ঞানিক চেতনার ঘাটতি্র কারণে রাষ্ট্র ভূমি ব্যবস্থার সাথে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সম্পর্ক নিয়ে যথার্থভাবে ভাবি না। প্রশ্ন করি না- এই সেনা বাহিনী, পুলিশ, বিচার ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে কি সাম্প্রদায়িকতার,নারী লাঞ্ছনার অবসান সম্ভব? দু’শ বছরের উপনিকেশিক ব্রিটিশ শক্তির হাতে গড়া রাষ্ট্রযন্ত্র,১৯৭১-এর পরাজয়ের মধ্য দিয়ে তার মূল ভিত্তি, পশ্চিম পাকিস্তনের আমলা-সামন্ত শ্রেণির প্রত্যক্ষ সমর্থন হারিয়ে দুর্বল হলেও মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ী শাক্তি তাকে নিজের স্বার্থে পরিবর্তিত করতে ব্যর্থ হল। তাকে না বদলিয়ে ভাল তবিয়তে রেখে দেওয়া হল। রাষ্টের মুল ভিত্তি- এই সেনা বাহিনী, পুলিশ, বিচার ব্যবস্থায় চিহ্নিত পাকিস্তানপ্রেমীদের রেখে দেওয়া হল, কাঠামোর কোন পরিবর্তন হল না।
পাকিস্তানের কট্টর দালাল- এরশাদ, তোয়াব, মোয়াজ্জেম প্রমুখকে মুক্তিযোদ্ধা সেনা অফিসারদের তীব্র বিরোধিতার মুখেও সেনা বাহিনীতে নেয়া হল। কেবলমাত্র মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে একটি মাত্র বাহিনীর করার তাজুদ্দিনের ঐতিহাসিক প্রস্তাব গ্রহণ করা হল না। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর অনেক আভ্যন্তরীণ নীতি বাংলাদেশ সেনা-বাহিনীকে রেখে দেওয়া হল। সরকারে মুস্তাক-তাহেরুদ্দিন ঠাকুর-শাহ মোয়াজ্জেম- এইচ.টি. ঈমাম গং ভাল শক্তি নিয়ে ঠিকে রইল। শফিউল আজমরা বেসামমরিক আমলাতন্ত্রে পুনরায় ফিরে এল। কোন ধরনের কৃষি কাঠামোর পুনর্গঠন ছাড়া, পাকিস্তানী রাষ্ট্রীয় কাঠামো বহাল রেখে “বিপ্লবী প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে”-এমন প্রাথমিক অথচ সুদূরপ্রসারী ভুল আমরা করলাম। আমরা বুঝতে ভয়ানকভাবে হৃদয়ঙ্গম করতে ব্যর্থ হলাম অর্থনীতি-রাষ্ট্র-সমাজ-শিক্ষাব্যবস্থার আমূল বিপ্লবী পরিবর্তন ছাড়া পাকিস্তানী ভূত স্থায়ীভাবে পরাভূত করা সম্ভব নয়। কেবল সংবিধান রচনাই যথেষ্ট নয়, সংবিধান রক্ষা করতে পারে এমন রাষ্ট্র ও সামজিক শ্রেণি অপরিহার্য। ফল হিসেবে দেখলাম ইতিহাসের অন্যতম নৃশংস হত্যাকাণ্ড; রাতারাতি “বাংলাদেশ বেতার” হয়ে গেল “রেডিও বাংলাদেশ”; “চালনা বন্দর”, “ পোর্ট অফ চালনা”। মিনি পাকিস্তান ফিরে এল।
যত সহজ পথে চেষ্টা করবেন তত কঠীন হবে বিজয়ের পথ
গত পঞ্চশ বছর বাংলাদেশে কৃষিভিত্তিক প্রায় সমতাভিত্তিক একটি সমাজ ভেঙে গিয়ে সেবাখাত নির্ভর চরম বৈষ্যমূলক অকৃষিভিত্তিক সমাজে রুপান্তরিত হয়েছে। একদিকে শাসক শ্রেণি হিসেবে দেখা দিয়েছে প্রায় ৪১ লাখ মানুষ (২.৭%) যাদের হতে প্রভূত টাকা-অস্ত্র-প্রচার মাধ্যম-সাম্রাজ্যবাদী-সম্প্রদায়িক শক্তি অন্যদিকে দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ৮৯ (৬৬%) লাখ সাধারণ মেহনতি মানুষ; মাঝখানে ৪ কোটি ৭০ লাখ মধ্যবিত্ত দোলাচলে দুলছে। ঐতিহাসিক নানা কারণে (যা সংক্ষিপ্তভাবে ইতিমধ্যে বণনা করা হয়েছে) ঐ মধ্যবিত্ত লুঠেরা ৪১ লাখ ধনীক শ্রেণি দ্বারা বিভ্রান্ত-ব্যবহৃত হচ্ছে; তার নিজস্ব ভূমিকা প্রায় শূন্যের কোঠায়। সে তার শ্রেণিস্বার্থও ঠিক মত দেখতে পারছে না। তাই আজ শিক্ষা-স্বাস্থ্য নিয়ে শিক্ষব-ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়াররা কোন জাতীয় স্বার্থভিত্তিক আন্দোলন গড়ে তুলতে পারছে না। বিরাজমান চরম নৈরাজ্যকর বাংলাদেশবিরোধী শিক্ষাব্যবস্থা ( ধর্মান্ধতা- -ব্যবসা ধর্ম (মাদ্রাসা ধারা)), অতি ব্যক্তিসবার্থ নির্ভর অন্ধ পাশ্চাত্যমুখিনতা (ইংরেজী মিডিয়ামএবং দল-দুর্নীতি নির্ভর সাধারণ ধারা যা মুক্তিযুদ্ধকে কার্যত অস্বীকার কারতে চাইছে।
যে সমাজ তার হাজার বছরের শ্রেষ্ট বিজ্ঞানীদের কেবলমাত্র সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্মের না হওয়ায় সম্মান দিতে জানে না; এদেশের সন্তান জগদীশ চন্দ্র বসু- প্রফুল্ল চন্দ্র রায়-সত্যেন বসু- মেঘনাথ সাহা- প্রমুখ যারা এশিয়ায় আধুনিক বিজ্ঞানে পথিকৃৎ, যারা কেবল মেধা-শ্রম দিয়ে বিজ্ঞানের সেবা করেননি, নিজস্ব পারিবারিক সম্পদও ব্যবহার করেছেন, যারা মানব প্রেমেও ছিলেন অনুসরণীয়- তাদেরকে প্রাপ্য মর্যাদা প্রদান দিতে কুণ্ঠিত সেখানে কি কোন বিশ্বমানের বিজ্ঞানী জন্মলাভ করবে? বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠবে? কখনও না। তার ললাটে অবধারিত লিখন ধর্মান্ধতা-পরনির্ভরতা-দারিদ্য-স্বাস্থ্যহীনতা-দুর্নীতি এবং মানবতার অপমান। রামু, সাঁথিয়া, অভয়নগর, রানাপ্লাজা, তাজরিন সেখানে হতেই থাকবে”। আমরা আনন্দিত গত বিজয় দিবসে দু দুটো বিশ্ব রেকর্ড করার জন্য। আবার আমরা ভীষণভাবে শঙ্কিত এই দেখে - এ ধরনের কর্মসূচি সবই ঢাকা শহর কেন্দ্রিক, মধ্যবিত্ত ও ধনীক শ্রেণিভিত্তিক। এমনকি কোন বাম সংঠনকে দেখলাম না মেহনতি মানুষ বা গ্রামাঞ্চল্কে কেন্দ্র করে কোন বড় ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করতে।আমরা কি গ্রামাঞ্চলকে স্বাধীনতা বিরোধীদের হাতে ছেড়ে দিয়েছি। আমরা কি ভুলে গেছি মধ্য ও ছোট কৃষকের সন্তানেরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিল। ডেমরা-আদমজী-টঙ্গীর শ্রমিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান সফল হতে পারত না।
ইসলামী ধর্মতন্ত্র সমর্থকরা, সমগ্র জনগোষ্ঠীর কত অংশ? বিভিন্ন নির্বাচনের ফলাফল, মাদ্রাসার বিপুল বৃদ্ধি এবং সাম্প্রতিক ঘটনাবলী সাক্ষ্য দেয়, বিভিন্ন নির্বাচনের ফলাফল, মাদ্রাসার বিপুল বৃদ্ধি এবং সাম্প্রতিক ঘটনাবলী সাক্ষ্য দেয়, ১২ থেকে ১৫শতাংশ মানুষ তাদের সমর্থক। জনসমর্থনের চাইতে এর সাংগঠনিক ও আর্থিক শক্তি আরও বেশি। ক্রমবর্ধমান মাদ্রাসাগুলোর অধিকাংশ তাদের সমর্থক। সামগ্রিকভাবে জনগণবিরোধী রাষ্ট্র মৌলবাদের সহায়ক ; এই কারণে রাষ্ট্রের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে তারা আসীন। তারা প্রচণ্ড রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড করেও পার পেয়ে যায়। লুটেরা ধনিক শ্রেণি তাদের শোষণের স্বার্থে মৌলবাদী ধর্মান্ধশক্তিকে জনগণের আন্দোলনকে স্তিমিত করার লক্ষ্যে টিকিয়ে রাখতে চায়, তাই আমরা দেখি জাতীয়তাবাদী শক্তির বিরাট অংশ গোড়া থেকে মৌলবাদী শক্তিকে প্রশ্রয় দিয়ে আসছে।
এখন যখন মৌলবাদ তাদের গিলে খেতে উদ্যত তখন তারা আত্মসমর্পণমূলক মনোভাব পোষণ করছে। সামগ্রিক বাঙালী সংস্কৃতিবিরোধী সাম্প্রদায়িকতা নির্ভর মুসলিম জাতীয়তাবোধ মৌলবাদের সমর্থন ভূমি হিসেবে কাজ করছে। এক হিসেবে দেখা যায় মুসলিম জনগোষ্ঠীর প্রায় ষাট শতাংশ মানুষ এই ভাবাদর্শের পরিমণ্ডলে আবদ্ধ রয়েছে। সমাজের উঁচু স্তরের কিছু মানুষ ধর্মতন্ত্রীদের সমর্থন করলেও ধর্মতন্ত্রীদের সামাজিক শক্তি হিসেবে কাজ করে মাদ্রাসাগুলোর ছাত্রসমাজের বিরাট অংশ, ইমামদের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ, গ্রাম ও শহরের বিত্তহীন জনসাধারণের একটা অংশ।
ধর্মতন্ত্রীদের তার সামাজিক শক্তি এবং রাষ্ট্র থেকে উৎখাত করা ছাড়া তাদেরকে দুর্বল করা সম্ভব কি? নিশ্চয় ভুলে যান নি-এরশাদোত্তর বিএনপি সরকারের চরম ব্যর্থতা সত্ত্বেও’ ৯৬ এর নির্বাচনে ৯১’ এর তুলনায় বিএনপির চার শতাংশ ভোট কমেছিল, ১২ জন কৃষক পুলিশর গুলিতে নিহত হওয়া সত্ত্বেও উত্তরবঙ্গের কৃষককুল বিএনপিকে জিতিয়েছিল। আওয়ামী লীগের পাঁচ বছরের শাসন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে তো শক্তিশালী করতে পারে নি, বরং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শক্তি আজ আরও সংহত হয়ে অবশিষ্ট মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধূলিসাৎ করতে উদ্যত হয়েছে।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির লুঠেরা রাজনীতি গ্রামাঞ্চলের সাধারণ কৃষক সমাজকে জামাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বাম-কমিউনিস্ট দলগুলো তো নব্বই দশক থেকে ভদ্রলোক সেজে শহরে বসবাস করেন বা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পিছনে ঘোরেন।বর্তমান জনগণবিরোধী রাষ্ট্র ও তার প্রতিষ্ঠানসমূহকে আমূল বদলিয়ে, চেপে-বসা ধর্মান্ধ-লুম্পেন শাক্তি ও আর্ন্তজাতিক বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকে পরাভূত করে বাংলাদেশের বিকাশকে মুক্তিযুদ্ধের ধারায় ফিরিয়ে আনবেন কিভাবে? সহজ কোন পথ নেই। যত সহজ পথে চেষ্টা করবেন তত কঠীন হবে বিজয়ের পথ”।
নারীর জাগরণ ছাড়া পুরুষতন্ত্র ধবংস হবে না, পুরুষ মানুষ হয়ে জীবনের সবাদ পাবে না, বাংলাদেশ সত্যিকার বাংলাদেশ হয়ে উঠবে না
নারীকে নিজসব ভাবে সংগঠিত না করে, তাকে সচেতন না করে বিপ্লবীরা বিজয় লাভ করতে পারবে না। সমাজের অর্ধেক সদস্য, নারীদেরকে অধিকার সচেতন করতে হলে নারীকে নিজসব ব্যানারে নিজের মত করে সংঘবদ্ধ হতে সাহায্য করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মুল সংগঠনের পাশাপাশি “প্রীতিলতা” বিগ্রেড গড়ে তোলার ধারণাকে আমি সমর্থন করি। ইলামিত্র, রোকেয়া, প্রমুখ এদেশের বীর নারীদের সাথে রোজা লুক্সেম্বার্গ, নেসরীন আব্দুল্লাহ ( কুর্দি কমান্ডার) প্রমুখ বিদেশী নারীদেরকে তোমরা স্মরণ করা যেতে পারে ।
নারীর জাগরণ ছাড়া পুরুষতন্ত্র ধবংস হবে না, পুরুষ মানুষ হয়ে জীবনের সবাদ পাবে না, বাংলাদেশ সত্যিকার বাংলাদেশ হয়ে উঠবে না, বিশব সভ্যতা পুঁজিবাদ মুক্ত হবে না, বাংলাদেশ সহ ভারতীয় উপমহাদেশ সাম্প্রদায়িকতার করাল গ্রাস থেকে নিস্তার পাবে না।
প্রীতিলতা- কল্পনা-ইলামিত্র-রাশমনি-রোকেয়া-সুফিয়া কামালপ্রমুখের উত্তরসুরিরা গর্জে ওঠ।
লেখক: মোহাম্মেদ নাসের
অধ্যাপক, পরিসংখ্যান বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় পরিষদ সদস্য, সিপিবি
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।