- হোম
- >
- কৃষিজ ও প্রাণিজ
- >
- বাঘের পর এবার সুন্দরবনে কুমির সমীক্ষা
বাঘের পর এবার সুন্দরবনে কুমির সমীক্ষা
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল, ২০১৫
প্রিন্টঅঅ-অ+
সুন্দরবনে রয়েল বেঙ্গল টাইগার গণনায় ক্যামেরায় চিত্রধারণ ও পায়ের ছাপ সংগ্রহ করার পর কুমির সমীক্ষার কাজ চলছে। বিশেষজ্ঞদল সুন্দরবনের ভেতরে প্রবহমান নদী-খালে ঘুরে ঘুরে এই প্রথম কুমির গণনার কাজ করছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ বনের হরিণ ও বন্য শূকর গণনার কাজ শুরু হবে বলে বন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরবনের মোট আয়তন ছয় হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে চার হাজার ১৪৩ বর্গ কিলোমিটার স্থল ও এক হাজার ৮৭৩ বর্গ কিলোমিটার জলভাগ। সুন্দরবন অভ্যন্তরে ছোট-বড় মিলে মোট ৪৫০টি নদী-খাল প্রবহমান। গোটা সুন্দরবনজুড়ে বাঘের বাস আর লবণ পানির কুমিরের আবাসস্থল নদী-খাল। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে সুন্দরবনে বাঘ ও কুমিরের সংখ্যা নির্ধারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
ওই সূত্র আরো জানায়, গত বছর মে মাসে কুমির সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। ক্যারিনাম নামে বেসরকারি একটি গবেষণা সংস্থার বিশেষজ্ঞরা বনের নদী-খালে ঘুরে ঘুরে কুমির গণনার কাজ করছেন। পাঁচ সদস্যের টিম বর্তমানে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের হারবারিয়া, কচিখালী ও ভদ্রা এলাকায় কাজ করছে। কুমির দেখে, নদী-খালের চরে কুমিরের ওঠা-নামার চিহ্ন পর্যবেক্ষণ ও রাতে কুমিরের চোখে লাইটের আলোর ঝলকানির মাধ্যমে কুমির গণনা করা হচ্ছে। আগামী ২০১৬ সালের মার্চ পর্যন্ত গণনার কাজ চলবে এবং ওই বছরের শেষ নাগাদ কুমিরের সংখ্যা জানা যাবে।
একই সূত্র আরো জানায়, কুমির গণনার কাছ শুরু করার আগে ক্যারিনাম বন বিভাগের ৮০ কর্মীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। এ ছাড়া জেলে, বাওয়ালি ও মৌয়ালদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করা হয়েছে। কুমিরের অবস্থান জানতে পারলে তারা গণনাকারীদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছে। এক কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে কুমির গণনার এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
ক্যারিনামের নির্বাহী প্রধান ও কুমির সমীক্ষার প্রধান তদন্তকারী (প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর) ড. এস এম এ রশীদ বলেন, 'এই প্রথম সুন্দরবনের সব নদী-খালে ঘুরে ঘুরে কুমির গণনা করা হচ্ছে। বেশ কিছু চিহ্নিত এলাকায় গণনার কাজ চলছে। কুমিরের কিছু বৈশিষ্ট রয়েছে, যেমন খাবার ও ডিম পাড়ার সময় কুমির বাইরের দিকে চলে আসে। তাই দিন-রাত মিলিয়েই গণনার কাজ চলছে। কুমির যেখানে যে অবস্থাতে থাকুক না কেন গণনার মধ্যে পড়তে হবে।'
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, 'সরকার ২০০২ সালে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের করমজল পর্যটনকেন্দ্রে কুমির প্রজননকেন্দ্র গড়ে তোলে। পাঁচটি কুমির নিয়ে ওই প্রজননকেন্দ্রের যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে সেখানে ছোট-বড় মিলে ২২২টি কুমির রয়েছে। এ ছাড়া ওই প্রজননকেন্দ্রে জন্ম নেওয়া ৮৯টি কুমির সুন্দরবনের নদী-খালে অবমুক্ত করা হয়েছে।'
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।