নারী শ্রমিকের দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণের মেয়াদ বাড়লো
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ২০ এপ্রিল, ২০১৫
প্রিন্টঅঅ-অ+
সৌদি সরকার সোমবার (২০ এপ্রিল) থেকে বাংলাদেশি নারী শ্রমিকদের জন্য ভিসা ইস্যু শুরু করছে। নির্দিষ্ট সংখ্যক শ্রমিকের চাহিদা আসতে পারে ভিসা ইস্যুর ১৫ দিনের মধ্যেই। তারপরই শুরু হবে দেশটিতে শ্রমিক পাঠানোর প্রক্রিয়া।
বাংলাদেশ থেকে মোট ১২ ক্যাটাগরির শ্রমিক নেবে সৌদি আরব। তবে প্রথম পর্যায়ে গৃহকর্মী পাঠানোর মধ্য দিয়েই এ প্রক্রিয়া শুরু হবে।
সৌদি আরব সোমবার থেকে বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য ভিসা ইস্যু করবে বলে জেনেছি। শুরুতেই নারী শ্রমিক নেবে বলে জানিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সচিব খন্দকার ইফতেখার হায়দার।
তিনি আরও জানিয়েছেন, বিদেশে যেতে নারীদের বাধ্যতামূলক ২১ দিনের একটি প্রশিক্ষণ নিতে হতো। কিন্তু তাদের দক্ষতা নিশ্চিতে এ প্রশিক্ষণের মেয়াদ ৪২ দিন করা হয়েছে। শুধু তাই নয় এ প্রশিক্ষণ হবে সম্পূর্ণ আবাসিক। প্রশিক্ষণের ক্যারিকুলামও আগের চেয়ে আধুনিক করা হয়েছে। যেখানে আরবি ভাষা শেখাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। গৃহস্থলিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম, ইলেকট্রনিক্স পণ্যের মাধ্যমে এসব প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানান খন্দকার ইফতেখার।
ইতোমধ্যেই কর্মী নির্বাচন শুরু করেছে সরকার।
জানা যায়, সৌদি যেতে ইচ্ছুক নাম নিবন্ধনকৃত নারীদের মধ্য থেকে ৮২ জনকে প্রথম পর্যায়ের প্রশিক্ষণের জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছে। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর আওতাধীন ২টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সৌদির চাহিদা মোতাবেক এ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আরো বাড়ানো হবে। সৌদি আরবের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের দক্ষতার পাশাপাশি সুস্বাস্থ্যের প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া কোনো ধরনের অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত এবং সৌদি আরবের সংস্কৃতি, পরিবেশ ও ধর্ম সম্পর্কে সচেতন থাকার প্রতিও গুরুত্ব দিয়েছে তারা।
এদিকে সৌদি আরবে যেতে আগ্রহী নারীদের ডাটাবেজ তৈরিতে নাম নিবন্ধনের আহবান জানানো হলেও তাতে সাড়া মেলেনি। সারাদেশে মাত্র ২ হাজার নয়শ’ ৩২ জন নারী নাম নিবন্ধন করেছেন। আর তাই চাহিদা মেটাতে সরকার এখন অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে নারী শ্রমিক আনার দায়িত্ব দিয়েছে।
জানা যায়, ভিসা ইস্যুর পরপরই সৌদির মেগা রিক্রুটিং এজেন্সি ট্যাকামল বাংলাদেশে আসছে পুরো প্রক্রিয়া নিয়ে বায়রার সঙ্গে আলোচনার করার জন্য।বাংলাদেশের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী নারী শ্রমিকের মানবাধিকার ও নিরাপত্তা যাতে বজায় থাকে সে বিষয়টি নিবিড় পর্যাবেক্ষণে রাখবে সরকার।
এ বিষয়ে ইফতেখার হায়দার বলেন, সৌদি আরবে নারী নির্যাতন বিষয়ে এক ধরনের নেতিবাচক খবর ছড়ানো হয়েছে। সেসব ২০০৬ সালের কিছু ঘটনা। এখন ২০১৫ সাল।
সৌদি সরকারও নারী শ্রমিকদের মানবাধিকার, মর্যাদা, নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতন। এসব যাতে নিশ্চিত হয় সে বিষয়টি আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।