আকাশে মেঘ জমলেই বিদ্যুৎ উধাও
গাইবান্ধা জেলা শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় শনিবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে রবিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত একটানা সাড়ে ১৩ ঘন্টা বিদ্যুৎ বন্ধ থাকায় জনজীবনে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
শনিবার রাতে সামান্য ঝড় বৃষ্টি হলেই বিদ্যুৎ চলে যায় এবং দীর্ঘক্ষণ তা বন্ধ থাকে। এ ছাড়া সম্প্রতি প্রতিদিন ঘন ঘন বিদ্যুতের যাওয়া আসা এবং লো-ভোল্টেজ সমস্যা বিরাজ করছে। ফলে ইলেকট্রণিক্স যন্ত্রপাতিসহ বৈদ্যুতিক বাল্ব ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ব্যাপক হারে।
এ অবস্থা গাইবান্ধায় নতুন নয়। সামান্য ঝড় বৃষ্টিতেই একটানা ১৮ থেকে ২৪ ঘন্টাও বিদ্যুৎ বন্ধ থাকার নজিরবিহীন এ অবস্থাটি বিরাজ করছে বিগত ১০ বছর থেকেই। অথচ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এব্যাপারে কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না।
গাইবান্ধায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের সকল টেলিফোন, মোবাইল এবং এমনকি নির্বাহী প্রকৌশলীর মোবাইলে যোগাযোগ করেও সর্বক্ষণ তা বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে কখন বিদ্যুৎ আসবে আর কেনই বা এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট সংঘটিত হলো সে তথ্য জানার কোন উপায় নেই।
এছাড়া বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার মেরামত বা সংস্কারের ক্ষেত্রেও বিদ্যুৎ বন্ধ রাখার পূর্বে মাইকিং করে প্রচারের বিধান থাকলেও তা প্রতিপালিত হচ্ছে না। তদুপরি বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের আশেপাশের গাছের ডালপালা কর্তন করার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ থাকলেও ডালপালা না কেটেই তা লুটপাট করা হচ্ছে। ফলে সামান্য ঝড় বৃষ্টিতেই বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন ও ট্রান্সফরমারের উপর গাছের ডালপালা ভেঙ্গে পড়েও প্রতিনিয়তই বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটাচ্ছে।
বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে জেলার সেচ নির্ভর ইরি-বোরো জমির ক্ষেতে মারাত্মক সেচ সংকট বিরাজ করছে। ফলে এ বছর বিদ্যুৎ নির্ভর ইরি-বোরো চাষ প্রকল্পের আওতার জমিতে ফসল উৎপাদন মারাত্মকভাবে হ্রাস পাবে বলে আশংকা করা হচ্ছে। এদিকে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের লেখাপড়াও মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এছাড়া সীমাহীন বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং সীমাহীন লোডশেডিংয়ের কারণে গাইবান্ধা জেলা শহর থেকে প্রকাশিত নিয়মিত ৪টি দৈনিক ও ৫টি সাপ্তাহিক পত্রিকার প্রকাশনা ব্যাহত হচ্ছে।
শহরের চাইতে বিদ্যুৎ বিভাগের আওতাধীন গ্রামগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। গ্রামগুলোতে একটানা ৩ থেকে ৯ ঘন্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। কোন কোনদিন পল্লী অঞ্চলে ২৪ ঘন্টায় ২ থেকে ৩ ঘন্টার বেশি বিদ্যুৎ থাকে না।
এ ব্যাপারে নির্বাহী প্রকৌশলীসহ বিদ্যুৎ বিভাগের অনুসন্ধান সংক্রান্ত টেলিফোন গুলোতে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।