কুড়িগ্রাম রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের ছিনাই বাজারের মহাসড়কের পাশেই এলজিইডি কল্যাণ প্রকল্পে প্রায় ৪০ শতক জমিতে ষ্ট্রবেরি ফলের চাষ করেছে- এলজিইডি কর্তৃপক্ষ। 

৪০ শতক জমিতে ষ্টবেরি চাষ করে নেট জাল দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। যাতে করে পাখি ফলের ক্ষতি করতে না পারে। 

জানা গেছে, এলজিইডি কর্তৃপক্ষ ষ্ট্রবেরি ফলের চাষ করার আগে বগুড়া থেকে ২জন ষ্ট্রবেরি চাষের দক্ষ কৃষককে মাসিক বেতনে নিয়োগ দেয়। কৃষকদের মধ্যে রফিকুল এই প্রতিবেদককে জানান, ষ্ট্রবেরি ফলের চারা লাগানোর ৭০-৭৫ দিনের মধ্যে গাছে ফল আসবে এবং আমরা এই ৪০ শতক জমিতেই ৪ দিন পর পর ৫০-৬০ থেকে কেজি করে ফল তুলছি। আর এ ফলগুলো কুড়িগ্রাম সহ অন্যান্য জেলার ব্যবসায়ীরা এখান থেকে ফল নিয়ে যাচ্ছে। প্রতি কেজি ১৫০-২০০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। 

এছাড়া স্থানীয় ভাবেও এর বিক্রি সন্তোষজনক। এখানে প্রতিদিনই স্থানীয় ক্রেতাদের পাশাপাশি দর্শনার্থীরাও ভির করছে। এই ৪০ শতক জমি থেকে আমরা আগামিতে ১ লক্ষ চারা বিক্রি করতে পারবো। প্রতিটি চারার মূল্য হবে ২০-২৫ টাকা। আমাদের এই ৪০ শতক জমিতে প্রায় ১ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। বিক্রিও প্রায় লক্ষাধিক টাকা ছেড়ে গেছে। আমরা চাই স্থানীয় কৃষকরা এসব দেখে তারাও এই ষ্ট্রবেরি ফলের চাষ বাণিজ্যিক ভাবে শুরু করুক। এটা আসলেই একটি লাভজনক ফলের চাষ। 

এ বিষয়ে এলজিইডির রাজারহাট শাখার ইঞ্জিনিয়ার জহুরুল হক বলেন, আমাদের এই এলজিইডি প্রকল্পে প্রায় ৪০ শতক জমিতে পরীক্ষামূলক ভাবে ষ্ট্রবেরি চাষ করেছি। এটা আসলেই লাভজনক, আগামিতে আমরা জমির পরিমাণ বৃদ্ধি করবো বলে আশা করছি।

এ ব্যাপারে রাজারহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ষষ্টী চন্দ্র রায় জানান, কুড়িগ্রামে এই প্রথম রাজারহাট উপজেলার ছিনাইয়ে শখের বসে ষ্ট্রবেরির চাষ করা হয়েছে। ষ্ট্রবেরি আসলে শৌখিন মানুষ ছাড়া চাষ করতে পারে না। কারণ ষ্ট্রবেরি চাষে খরচ অনেক বেশি। তবে আমরা আশা করছি আগামিতে আরো অনেক কৃষক ষ্ট্রবেরি চাষ করবেন।