আত্মহত্যাই সমাধান মনে করেছিলে যে অভিনেতারা
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ১০ এপ্রিল, ২০১৫
প্রিন্টঅঅ-অ+
জীবনটা হঠাৎ থেমে গিয়েছিল মেরিলিন মনরোর। ১৯৬২ সালের ৫ আগস্ট আত্মহত্যা করেন এ নায়িকা। অনেকে মনে করেন এর কারন ড্রাগ ওভারডোজ আবার অনেকে মনে করেন এতা হত্যা। ড্রাগ ওভারডোজ এর কারনে আরও মৃত্যুবরণ করেন "দি ডার্ক নাইট" খ্যাত অস্কারজয়ী অভিনেতা হিথ লিজার এবং কিং অফ পপ মাইকেল জ্যাকসন।
নানা সময়ে আত্মহননের এই পথ বেছে নিয়েছেন দেশ-বিদেশের বহু তারকা৷ তাদের আত্মহত্যার জন্য দায়ী করা হয় প্রত্যাশার চাপ, হতাশা, ব্যর্থতা, যন্ত্রণা বা সামাজিক সমস্যা৷ হয়তো অন্য পেশার মানুষের মতো জীবনের এ সমাপ্তি অপ্রত্যাশিত নয়। কিন্তু সেলিব্রেটি হওয়ার কারণে তাদের আত্মহত্যা মুখরোচক আলোচনার খোরাক যোগায়। বেরিয়ে আসে অস্বস্তিকর অতীত। আবার আত্মহত্যার শিকার সেলিব্রেটিদের বড় অংশ নারী। এটা মনে করিয়ে দেয় সামাজিক প্রতিকূলতার বড় শিকার নারীরা।
কলকাতার অভিনেত্রী দিশার আত্মহত্যার পর এ সব কথা আবারও ফিরে ফিরে আসছে। বৃহস্পতিবার সকালে তার ঘরের দরজা ভেঙে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। একাধিক জনপ্রিয় সিরিয়ালে অভিনয় করতেন দিশা।
১৯৯০ -এর দশকে ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’ খ্যাত বাংলাদেশী অভিনেত্রী ডলি আনোয়ারের মৃত্যু অনেক আলোচিত হয়েছে। কিংবদন্তি নায়ক সালমান শাহের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে এখনো ভক্তরা মেনে নিতে পারেনি। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে বেশ কয়েকজন তারকা আত্মহত্যা করেছেন। এ তালিকায় আছেন অভিনেত্রী রাহা, মিতা নূর, টুনি খ্যাত নায়ার সুলতানা ও চ্যানেল আইয়ের সেরা নাচিয়ে-১৪ এর ৫ম স্থান অধিকারী হুরে জান্নাত এথিনা। কারো কারো আত্মহত্যার চেষ্টার খবরও শোনা গেছে। যারা বেঁচে তারা স্বীকারও করেছেন— আত্মহত্যা কোনো সমাধান হয়।
২০১৪ সালের ১১ আগস্ট আত্মহত্যা করেন ‘গুড মর্নিং ভিয়েতনাম’, ‘ডেড পয়েটস সোসাইটি’ চলচ্চিত্রের জন্য বিখ্যাত হলিউড অভিনেতা রবি উইলিয়ামস। অনেক দিন মানসিক বিষণ্নতায় ভোগার পর তিনি এ সিদ্ধান্ত নেন।
আশির দশকে দক্ষিণী ও কিছু কিছু হিন্দি সিনেমায় ইরোটিকা শব্দের সমার্থ্যক হয়ে উঠেছিলেন সিল্ক স্মিতা৷ কিন্তু এক সময় তার চাহিদা ফুরিয়ে যায়। কাজ না পাওয়ার হতাশায় ১৯৯৬ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর চেন্নাইয়ের বাড়িতে সিলিং ফ্যানে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন৷ বলিউডে তার জীবনের ছায়া অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ‘ডার্টি পিকচার’৷
পরকীয়ার জেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন বলিউডের কিংবদন্তি পরিচালক-অভিনেতা গুরু দত্ত৷ স্ত্রী গীতা দত্তের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ও অভিনেত্রী ওয়াহিদা রহমানের সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা কারোই অজানা ছিল না৷
আবার কারো কারো মৃত্যু এখনো রহস্য ঘেরা। ১৯৯০ এর দশকের জনপ্রিয় বলিউড নায়িকা দিব্যা ভারতীর আকস্মিক মৃত্যু ঘটে বাড়ির ৬ তলা থেকে পড়ে৷ মাত্র ১৯ বছরের দিব্যার বিয়ে হয়েছিল সাজিদ নাদিওয়ালার সঙ্গে৷ এই মৃত্যু আত্মহত্যা নাকি হত্যা সে রহস্য আজও থেকে গেছে৷ একই রকম রহস্যাবৃত অভিনেত্রী জিয়া খানের মৃত্যুও৷ ২০১৩ সালে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়৷
কলকাতার একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মহুয়া রায় চৌধুরীর মৃত্যু হয় আগুনে পুড়ে। কিভাবে এ দুর্ঘটনা ঘটে তা আত্মহত্যা কিনা, তা নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই গেছে৷ বাংলা গানের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গীতিকার পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ও বেছে নিয়েছিলেন আত্মহত্যার পথ৷ আচমকাই ঝাঁপ দিয়েছিলেন গঙ্গায়৷
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।