সালিশে মেয়ের পরিবার খুশি : ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান
পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়ার লতাচাপলি ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবু সাইদ ফকির জানান, এলাকার লোকজনের চাপে তিনি মিজানকে মারধরসহ এমন নির্যাতন করেছেন। এমন সালিশিতে মেয়ের পরিবার খুশি। সালিশে দুলাভাই মিজানুর ও তার ভাই কবির ক্ষমাও চেয়েছেন।
শ্যালিকা লাইজুর বয়স সম্পর্কে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জানান, বিয়ের কাবিনে বয়স ১৮ উল্লেখ করা হলেও প্রকৃত বয়স ১৬ কী ১৭ বছর। বাল্যবিয়ের কথা লাইজুর পরিবার থেকে তাকে জানানো হয়েছে।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান জানান, পুলিশ পাঠিয়ে লাইজু, তার বড় বোন, মিজানুরসহ মামলার বাদী হারুন তালুকদারকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
তারা কোনো পক্ষের চাপে বা ভয়ে এলাকা ত্যাগ করেছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি জানান, কাউকে পাওয়া গেলে বিষয়গুলো পরিষ্কার হতো। তবে কেউ মামলা নিয়ে এলে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জানান, কোনো চাপ বা ভয় নেই। এলাকায় সবাই রয়েছেন।
পটুয়াখালী পুলিশ সুপার সৈয়দ মোসফিকুর রহমান বৃহস্পতিবার বিকেলে জানান, অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট সালিশকারীদের রবিবার তার কার্যালয়ে হাজির করার জন্য কলাপাড়া থানার ওসিকে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও তদন্ত করার জন্য আদালতের আদেশে কী বলা হয়েছে তা যাচাই-বাছাই করে ও বিষয়টি রবিবার আদালতের নজরে এনে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য ওসিকে বলা হয়েছে।
বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ব্র্যাকের লতাচাপলি ইউনিয়ন ফিল্ড অর্গানাইজার শাহিদা বেগম জানান, মিডিয়ায় রিপোর্ট দেখে ব্র্যাকের প্রধান কার্যালয়ে একটি ফ্যাক্সবার্তা পাঠানো হয়েছে। ওই বার্তায় তরুণীকে ধর্ষণ ও এর বিচারের নামে নির্যাতন করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। উপরের নির্দেশ পেলে তারা মাঠে তদন্তে নামবেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।