ভিনগ্রহে প্রাণের সন্ধানের ইঙ্গিত ২০২৫ সালের মধ্যেই মিলবে আর তার নির্দিষ্ট প্রমাণ আগামী ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হাতে চলে আসবে বলে আশা প্রকাশ করল নাসা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই মহাকাশ গবেষণা সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী এলেন স্তোফান জানিয়েছেন, তাঁদের আশা, আগামী এক দশকের মধ্যেই পৃথিবীর বাইরে ভিনগ্রহে জীবনের সন্ধান পেয়ে যাবেন। তা বিশ্লেষণ করে সেখান থেকে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নির্ধারণ করতে দুই থেকে তিন দশক লাগতে পারে। সম্প্রতি, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে ভিন্ন প্রাণের উত্স এবং জীবনধারণযোগ্য গ্রহের খোঁজ সংক্রান্ত নাসার গবেষণা নিয়ে এক বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথাই জানান স্তোফান।

তিনি বলেন, ‘আমরা জানি কোথায় খুঁজতে হবে। জানি কেমন ভাবে খোঁজ চালাতে হবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমাদের প্রযুক্তি রয়েছে, সেগুলিকে সঠিক ও পরিকল্পনামাফিক রূপায়ণ করার চেষ্টা চালাচ্ছি। আমাদের বিশ্বাস, সঠিক পথেই এগিয়ে চলেছি।’

স্তোফানের মতোই আত্মবিশ্বাসী নাসার আরেক বিজ্ঞানী জন গ্রুন্সফেল্ড। নাসার বিজ্ঞান অভিযান পরিচালনমণ্ডলীর সহকারী প্রশাসক গ্রুন্সফেল্ড মনে করেন, এলিয়েন বা ভিনগ্রহী জীবনের উত্স সৌরমণ্ডলের ভিতরে এবং বাইরে মিলতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা ভিনগ্রহী জীবনের খোঁজ থেকে মাত্র এক প্রজন্ম দূরে আছি। সেটা চাঁদ এবং মঙ্গলগ্রহের চূড়ায় মেলা বরফের নীচেও থাকতে পারে, আবার কোনও নিকটবর্তী তারার নিজস্ব মণ্ডলে থাকতে পারে।’

গ্রুন্সফেল্ডের মতে, যে ছায়াপথের অন্তর্গত অবস্থান করছে আমাদের সৌরমণ্ডল, সেই ‘মিলকি ওয়ে’ বা আকাশগঙ্গা ছায়াপথের মধ্যেও অনেক এমন গ্রহ রয়েছে, যেখানে জীবন-সহায়ক পরিবেশ রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি জানান, সৌরমণ্ডলের অন্তর্গত বৃহস্পতি গ্রহের দুটি উপগ্রহ—ইউরোপা এবং গ্যানিমেড এবং শনির উপগ্রহ এনসিলেদাস-এর পৃষ্ঠে পুরু বরফের আচ্ছাদেনর নীচে বিশাল সমুদ্র রয়েছে, যা সম্ভবত জল দিয়েই তৈরি। শুধু তাই নয়, বিজ্ঞানীদের মতে, লালগ্রহের অধিকাংশ জায়গা একসময় জলের নীচে ছিল। সেখান থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও ছবি দেখে তাই মনে হয়েছে বিজ্ঞানীদের।