সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে ল্যাব উন্নয়ন ফিসহ সকল প্রকার বর্ধিত ফি প্রত্যাহারের দাবিতে মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মেহেরাব আজাদের সভাপতিত্বে এবং দপ্তর সম্পাদক প্রসেনজিৎ সরকারের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক কিশোর সরকার ও অর্থ সম্পাদক তিথি চক্রবর্তী।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘গত কয়েক মাস ধরে ল্যাব উন্নয়ন ফি বাবদ মার্কেটিং বিভাগে-২০০০টাকা, মনোবিজ্ঞান বিভাগে-৩০০টাকা এবং প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগে-২৫০টাকা আদায় করা হচ্ছে। অন্যান্য বিভাগগুলোতেও এ ধরণের ফি আদায়ের পাওতারা চলছে।’

তাঁরা আরও বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতেই একজন শিক্ষার্থীর হাজার হাজার টাকা লাগে। এর উপর আবার আবাসিক হল না থাকায় বাইরে থাকতে ব্যাপক টাকা খরচ করতে হয়। এই টাকা বেশির ভাগ শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়িয়ে জোগাড় করতে হয়। এখন এর সাথে যুক্ত হল ল্যাব উন্নয়ন ফি, বিভাগ উন্নয়ন ফি নামে নানারকম ফি।’ 

নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘এর মধ্যে গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ল্যাব উন্নয়ন ফি প্রত্যাহারের দাবিতে স্বাক্ষর সম্মলিত আবেদন পত্র বিভাগের চেয়ারম্যান বরাবর জমা দিতে গেলে চেয়ারম্যান বলেন,‘ফাও খাওয়ার দিন শেষ’। দায়িত্ববান শিক্ষকের এরূপ মন্তব্য কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। একজন শিক্ষকের এই ধরণের মন্তব্য এদেশের বেশিরভাগ সাধারণ মানুষের সন্তানের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার পথকে রুদ্ধ করবে।’ 

নেতৃবৃন্দ সকল শিক্ষার্থীদের ফি বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান।