গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ, এসআইসহ ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে গৃহবধূকে শ্লীলতাহানী ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা করায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ। 

ফলে ওই ঘটনা ধামাচাপা দিতে গোবিন্দগঞ্জের দুইজন সাংবাদিক, নির্যাতিত গৃহবধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে গোবিন্দগঞ্জ থানায় হয়রানিমূলক পাল্টা একটি মারপিট ও চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের জিরাই গ্রামের মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেছে। 

বৃহস্পতিবার ওই এলাকার নারী-পুরুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে টেম্পু যোগে গাইবান্ধা জেলা শহরে এসে প্রেসক্লাব সংলগ্ন স্টেশন রোডে এলাকাবাসীর উদ্যোগে জিরাই গ্রামের নিরীহ গৃহবধূর উপর নির্যাতনকারী দোষী পুলিশকে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

মানববন্ধন চলাকালে গাইবান্ধা জেলা ও উপজেলার জেসএসডি, ওয়ার্কার্স পাটি, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফ্রন্ট, মহিলা পরিষদ, গোবিন্দগঞ্জ নাগরিক কমিটি, নারী মুক্তি সংসদ, সাংবাদিক, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ সংগ্রাম পরিষদ ও কৃষক নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন লাসেন খান রিন্টু, মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, জাহাঙ্গীর আলম, আ ক ম মজিবুর রহমান সরকার, নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী, ঋতু রাণী, মোয়াজ্জেম হোসেন, এমএ মতিন মোল্লা, আইয়ুব হোসেন সরকার, বেলা রাণী প্রমুখ। 

বক্তারা গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জের অবিলম্বে অপসারণ, ওই থানার দোষী পুলিশদের গ্রেপ্তার করে মামলার সঠিক তদন্ত নিশ্চিত করা, সাংবাদিকসহ নির্যাতিতদের উপর থানায় দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, নির্যাতিত পরিবারের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং উল্লে-খিত ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান। 

পরে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে উল্লেখিত দাবি বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয়। 

প্রসঙ্গত: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ, এসআইসহ ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন, শ্লীলতাহানী ও ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৩১ মার্চ মঙ্গলবার গৃহবধু মনোয়ারা বেগম বাদি হয়ে গাইবান্ধার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেন। এই সংবাদটি দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও ইলেকট্রণিক মিডিয়া ফলাও করে প্রচার করা হয়।