চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সুপদিয়া কাচারীপাড়ায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী সালমা পারভীনকে (৩০) হত্যা করে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছে স্বামী উজ্জল হোসেন। রবিবার দিবাগত রাত ৯ টার দিকে সুপদিয়া কাচারীপাড়া গ্রামে স্বামীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে ঘাতক স্বামী উজ্জল হোসেন পলাতক রয়েছে। নিহত সালমা পারভীন সদর উপজেলার আলোকদিয়া বাজার পাড়ার মৃত আছির উদ্দীনের মেয়ে।

জানা যায়, রবিবার দিবাগত রাতে উজ্জল হোসেন তার স্ত্রী সালমা পারভীনকে বাবার বাড়ি থেকে জমি বিক্রয় করে যৌতুকের দাবিকৃত দেড় লাখ টাকা নিয়ে আসার জন্য বলে। টাকা আনতে অস্বীকৃতি জানালে উজ্জল ক্ষিপ্ত হয়ে সালমা পারভীনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বাড়ির পিছনের গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে। 

নিহতের মা কুলসুম খাতুন জানান, সালমার স্বামী উজ্জল হোসেন দেড় লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই তার মেয়েকে নির্যাতন করতো। গত কয়েক দিন থেকে উজ্জল জমি বিক্রি করে টাকা আনার জন্য আমার মেয়ের উপর অত্যাচার নির্যাতন বাড়াতে থাকে। সালমা রাজি না হওয়ায় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে গলায় ফাঁস দিয়ে গাছে ঝুলিয়ে রাখে উজ্জল।

লাশের সুরোতহাল রিপোর্ট লেখা সরোজগঞ্জ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ সেকেন্দার আলী জানান, নিহত সালমা পারভীনের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের পরই জানা যাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে নাকি সে আত্মহত্যা করেছে। এঘটনার পর থেকে স্বামী উজ্জল পলাতক রয়েছে বলেও জানান তিনি।