ফতেহপুর মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার ফতেহপুর জে ইউ সিনিয়র ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম, নিয়োগ বানিজ্য ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যপারে প্রতিষ্ঠানের ব্যাবস্থাপনা কমিটির সহসভাপতি আবু তাহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লক্ষ্মীপুরের নিকট উপাধ্যক্ষের বিভিন্ন অনিয়ম সম্বলিত একটি অবহিতকরণ রিপোর্ট পেশ করেছেন।
দ্বায়িত্বে থাকাকালীন তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার, নিয়োগ বানিজ্য, শিক্ষক হয়রানী, শিক্ষকদের শারিরীকভাবে লাঞ্চিত, মামলা জড়ানোর হুমকিসহ বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। তার এহেন কর্মকাণ্ডে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর সংখ্যাও দিন দিন হৃাস পাচ্ছে বলে জানা যায়।
সরেজমিনে তদন্ত করা জানা যায়, উপাধ্যক্ষ একে এম ইউসুফ তার দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে নিয়োগ বোর্ডের খরছ ৮০৩৭৫, প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনকালে ৩ হাজার টাকা, ১ মাসের মোবাইল বিল ১২ শ টাকা, বিজ্ঞপ্তির ১৪২০ টাকা, পরীক্ষার সময় সরকারীভাবে খরছ দেওয়া হলেও প্রতিষ্ঠান থেকে সাড়ে ৬ শ টাকা, জমিয়াতুল মোদারেছিনের চাঁদা ৫শ, ইংরেজী প্রভাষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি খরছ ১৮শ, স্থানীয় একটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি বিল ১ হাজার টাকা, দুই মাসের মোবাইল বিল ১৩ শ টাকা, চিঠি প্রেরণের বিল ১৫৩০ টাকাসহ ২০১৪ ইং সালের আলিম পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন ফি বাবত আয়ের রিসিটে ৪০ টি রিসিটে অভাররাইটিং পাওয়া গেছে।
যার রিসিটের শিক্ষার্থীদের অংশে ৫শ টাকা লেখা প্রতিষ্ঠানের রিসিটে ৩৫০ টাকা জমার প্রমাণ পাওয়া যায়। এব্যাপারে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত টিম গঠিত হলে তদন্ত টিমের সদস্য মোঃ আবুল বাসার ও মোঃ মোহছেন স্বাক্ষরিত একটি প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষকে জমা দেন।
এছাড়াও তার সময়ে আরবী প্রভাষক পদে তার আপন মামাতো ভাইকে নিয়োগ দিয়ে আত্মীয়করণ, মাদ্রাসায় না এসে হাজির খাতায় সই, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের কারণে সাড়ে ৫ শ শিক্ষার্থীদের মধ্যে কমে দাঁড়ায় ৩৮৯ জনে।
চলতি বছরের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মাদ্রাসা মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনাসভায় স্থানীয় সংসদ সদস্য লায়ন এম এ আউয়াল ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ শাহজাহানের উপস্থিতিতে বেশ কয়েকজন বক্তা তার অনিয়মের ব্যাপারে তাদেরকে অবগত করলে তারা দ্রুত বিষয়টি তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাগিদ দেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোবারক হোসেন জানান, তার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগই সত্য। তার কারণে মাদ্রাসার সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে।
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মাদ্রাসা গভর্নিং বডির সদস্য কামাল হোসেন জানান, একজন শিক্ষিত লোক যদি অনিয়ম দূর্নীতি করেন, তাহলে সাধারণ লোক কি করবে। তার স্বেচ্ছাচারী আচরণের কারণে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী কমে যাচ্ছে।
বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এটি এম সালেহ জানান, ভাই আমি গাড়িতে আছি। পরে আপনাকে জানাবো।
সাবেক উপাধ্যক্ষ একে এম ইউসুফ জানান, আমরা বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পন্ন রুপে বানোয়াট ও অসত্য। কিছু স্বার্থান্বেষী লোকের যোগসাজসে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে ষড়যন্ত্র করছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।