- হোম
- >
- আইন-মানবাধিকার
- >
- শেরপুরে কামারুজ্জামানের লাশ দাফন করতে দেওয়া হবে না
শেরপুরে কামারুজ্জামানের লাশ দাফন করতে দেওয়া হবে না
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, শেরপুর জেলা ইউনিট কমান্ডার ও কামারুজ্জামানের সম্মৃদ্ধি (স্ত্রীর বড় ভাই) আ স ম নূরুল ইসলাম বলেছেন, যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের লাশ শেরপুরের মাটিতে দাফন করতে দেওয়া হবে না। প্রশাসন কামারুজ্জামানের লাশ শেরপুরে দাফনের অনুমতি দিলে প্রয়োজনে এর বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা আন্দোলনের কর্মসূচি দেবেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে কামারুজ্জামানের রিভিউ আবেদন সুপ্রীম কোর্ট খারিজ করে দেওয়ার পর আজ ৬ এপ্রিল সোমবার দুপুরে শহরের শিববাড়ি এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্স কার্যালয়ে সাংবাদিকদের নিকট এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নূরুল ইসলাম উচ্চ আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ময়মনসিংহ অঞ্চলের ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি ও আলবদর কমান্ডার কামারুজ্জামান নিজ জেলা শেরপুরসহ বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটসহ নানা মানবতাবিরোধী অপরাধে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নেতৃত্ব দেন। শুধু তাই নয়-ওইসময় নালিতাবাড়ীর সোহাগপুর গ্রামে ১৪৪ জন নিরপরাধ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেন। যা আদালত কর্তৃক আজ সুপ্রমাণিত। এ ধরণের একজন যুদ্ধাপরাধীর লাশ কোনভাবেই শেরপুরের মাটিতে দাফন করতে দেওয়া হবে না বলে তিনি ঘোষণা দেন। তিনি দ্রুততম সময়ে কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য সরকারের নিকট দাবি জানান।
এদিকে কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায় বহাল থাকায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও ছাত্রলীগের উদ্যোগে শহরে আনন্দ মিছিল এবং মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে সেক্টরস কমান্ডারস ফোরাম, শেরপুরের সভাপতি মো. আমজাদ হোসেন বলেন, ২০০৮ সালের ১২ নভেম্বর ফোরামের এক সমাবেশে কামারুজ্জামানকে শেরপুর জেলার অন্যতম শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী হিসেবে ঘোষণা এবং তাঁর বিচার দাবি করা হয়। আজ সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে জেলার সব মানুষ খুশি। কামারুজ্জামানের ফাঁসির দন্ড বহাল থাকায় শেরপুর আজ কলঙ্ক মুক্ত হলো।
নালিতাবাড়ীর সোহাগপুর বিধবাপল্লী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. জালাল উদ্দিন রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, সোহাগপুরে নৃশংসতা ও ১৮৭ জন নিরীহ মানুষের হত্যার নায়ক কামারুজ্জামানের ফাঁসি হলো তাঁদের প্রাণের দাবি। তাই অবিলম্বে এই রায় কার্যকর করার জন্য তিনি সরকারের নিকট দাবি জানান।
শেরপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা হাকিম মোহাম্মদ জাকীর হোসেন আজ সোমবার বলেন, মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের রায় প্রদানকে সামনে রেখে এ মামলার স্বাক্ষী ও ভিকটিমদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলায় দুই প্লাটুন বিজিবি, র্যাবসহ অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।