ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় বারোবাজারে মসজিদটি অস্তিত। গোরাই মসিজদ থেকে প্রায় ২০০ মিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে একটি জলাশয়ের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে অবস্থিত মনোহর মসজিদ। ৩৫ গম্বুজ বিশিষ্ট বিশাল এই মসজিদটির উৎ খননের কোন প্রতিবেদন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর প্রকাশ করেনি বিধায় এর ভূমি নকশা, স্থাপত্যশৈলী সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোন বিবরণ পাওয়া সম্ভব হয়নি।
উত্তর-দক্ষিণে লম্বা মসজিদটি ভেতরের দিকে প্রায় ৭৪/৫৩(২২.৬৭/১৬.১০) ফুট লম্বা, দেওয়াল প্রায় ৫ ফুট পুরু। উৎখননের পরে চারিদিকের দেওয়াল পুরোপুরি উদ্ধার করা সম্ভব না হলেও পূর্ব দিকের দেওয়ালে পাঁচটি এবং উত্তর দিকের দেওয়ালে চারটি প্রবেশপথের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। মসজিদের ভেতরে ছয় সারিতে সর্বমোট ২৪টি ইট নির্মিত স্তম্ভ ছিল। এখানে চারটি মিনারের মধ্যে মাত্র দু’টি আবিষ্কার করা গেছে এবং আবিষ্কৃত মিনার দুটির মাত্র পাঁচ ফুট অংশ টিকে আছে যা গোলাকারভাবে নির্মিত।
মসজিদের উত্তর-পশ্চিম কোণে বাইরের দিকে একটি আলাদা কামরা পাওয়া গেছে, ধারণা করা হয় এটি মসজিদের ইমাম বা সেই ধরনের কোন কর্মকর্তার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। স্থাপত্যটি বৈশিষ্ট্য থেকে ধারণা করা হয় মনোহর মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল সুলতানী আমলের শেষ দিকে। এখানে কোন লিপি সাক্ষ্য পাওয়া না যাওয়ার কারণে নির্মাণ কাল এবং নির্মাতা সম্পর্কে কোন তথ্য জানা যায়নি।
স্থানীয় জনগণ এই স্থানে জঙ্গল পরিষ্কার করার সময়ে প্রথম মসজিদটির অবস্থান আবিষ্কার পরে, পরবর্তীকালে বিষয়টা প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের দৃষ্টিগোচর হলে তারা এখানে পদ্ধতিগত উৎখনন পরিচালনা করে এই ৩৫ গম্বুজ মসজিদটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করে।