সুনীল নারাইনের বিপক্ষে ছিল শ্রীনিবাসন
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ০৬ এপ্রিল, ২০১৫
প্রিন্টঅঅ-অ+
শ্রীনিবাসন নামটা এখন বাংলাদেশেই বেশি পরিচিত। মুস্তফা কামালের সঙ্গে বিবাধে জড়িয়ে তিনি পরিণত হয়েছেন দেশের এক নম্বর শত্রুতে। এবার জানা গেল শ্রীনিকে নিয়ে আরেকটি খবর। সুনীল নারাইন আইপিএলে খেলুক তা চান না তিনি। আর তাই গতকাল নারাইনের বোলিং অ্যাকশনের ছাড়পত্র দেয়ায় নাখোশ হয়েছেন ক্রিকেটের এই বিতর্কিত ব্যক্তি।
আইসিসি সুনীলকে বোলিংয়ের বৈধতা দিয়েছিল আগেই। আইপিএল তা দিতে গড়িমসি করছিল। অবশেষে মুক্তি পেয়েই নেটে নেমে পড়েন সুনীল। গতকাল খারাপ আবহাওয়ার জন্য ইডেনে নেমে অনুশীলন করার উপায় ছিল না। আর তা জেনে সতীর্থদের সঙ্গে ইডেনের লাগোয়া পঙ্কজ গুপ্ত ইন্ডোরেই ঢুকে পড়েন এই তারকা স্পিনার। সেখানে দোতলায় তখন মঙ্গলবারের আইপিএল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে বৈঠকে ব্যস্ত বোর্ড প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়া। কয়েক ঘণ্টা আগেই যাঁর নির্দেশে বোর্ডের কাছ থেকে আইপিএলে খেলার ছাড়পত্র পেয়েছেন ক্যারিবিয়ান স্পিনার এবং যে সিদ্ধান্ত নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসনকে এতটুকু খুশি করেনি বলেই খবর। আইপিএলে সিইও সুন্দর রামন থেকে শুরু করে শ্রীনি লবির কেউই চাননি যে, নারাইনকে আইপিএলে খেলার জন্য এ ভাবে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হোক। এটাও মনে করা হচ্ছে যে, বোর্ডে যদি এখন অন্য জমানা থাকত তা হলে নারাইনকে মোটেই এই ছাড়পত্র দেওয়া হত না।
এত দিন অনেকে অভিযোগ করছিলেন যে, জগমোহন ডালমিয়া বোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর কিছুই করছেন না। এখন পর্যন্ত কোনও কমিটি গঠন করা হয়নি। এমনকী আইপিএল চেয়ারম্যানও তিনি ঠিক করেননি। কিন্তু সুনীল নারাইনকে ছাড়পত্র দিয়ে এ দিন একটা জোরালো সিদ্ধান্ত নিলেন ডালমিয়া। আসলে যেন একটা বিবৃতিই দিলেন, তিনি নিজের এবং নিজেরই থাকবেন।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টি থেকে নিষিদ্ধ হওয়ার পর বিশ্বকাপে খেলেননি নারাইন। সেই সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ড যা করে দেখাতে পারেনি, কেকেআর এ বার সেটাই করে দেখাল। নারাইনকে বিশ্বকাপে খেলাতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু কেকেআর সিইও বেঙ্কি মাইসোরের নিরলস চেষ্টায় আইপিএলে নারাইনের খেলা সম্ভব হল। এ দিন নারাইনের ছাড়পত্রের খবর পেয়ে মাইসোর টুইট করেন, ‘‘খুব স্বস্তি পেলাম। বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট ও সচিব এবং (বোলিং রিভিউ) কমিটিকে ইতিবাচক ফলের জন্য ধন্যবাদ।’’ সুনীলকে এক সময় ইংল্যান্ডে পাঠানো হয় তাঁর অ্যাকশন শোধরানোর জন্য। সেখানে তার তিন রকম ডেলিভারি ছ’টা করে করানো হয়। মোট ১৮টা। যার মধ্যে মাত্র দু’টো ডেলিভারি সন্দেহ সীমার কাছাকাছি ছিল। তার পরই সেই পরীক্ষার রিপোর্ট আইসিসি-তে পাঠানো হয়, যা দেখে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থাও তাঁকে ছাড়পত্র দেয়।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।