- হোম
- >
- কৃষিজ ও প্রাণিজ
- >
- জয়পুরহাটে পরিবেশ বান্ধব লতি রাজ কচু উৎপাদন
জয়পুরহাটে পরিবেশ বান্ধব লতি রাজ কচু উৎপাদন
উত্তর বঙ্গের শস্যভাণ্ডার খ্যাত জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে প্রযুক্তির মাধ্যমে ফেরোমন ভিত্তিক পরিবেশ বান্ধব লতিরাজ কচু উৎপাদনে সহযোগিতা করে যাচ্ছে সরেজমিন গবেষণা বিভাগ (বিসিসিটি) বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট বগুড়া। লতি রাজ কচু একটি অর্থকরী ফসল।
এবার জেলায় লতি রাজ কচু ১ হাজার ৪শ ৫০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। পাঁচবিবির লতি রাজ কচু দেশের চাহিদা মিটিয়ে এশিয়া, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যসহ ১৬টি দেশে রপ্তানি করা হয়। লতি রাজ কচু চাষে অন্যতম সমস্যা হলো কাটুই পোকার ব্যাপক আক্রমণ। কাটুই পোকা একটি সর্বভুক পোকা। লতি রাজ কচু সহ বিভিন্ন ফসলে এদের ব্যাপক আক্রমণ দেখা যাচ্ছে।
বগুড়া অঞ্চলের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড: মো: জুলফিকার হায়দার প্রধান প্রতিনিধিকে জানান যে, বৈশ্বিক উন্নয়ন এর ফলে তাপমাত্রার বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশে পোকার আক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে । কারণ পোকার আচরণ , বিস্তার, বেঁচে থাকা, বৃদ্ধি ও প্রজনন তাপমাত্রার উপর নির্ভরশীল। সর্দ জাত লার্ভা একত্রিতভাবে পাতার সবুজ আঁশ খেয়ে ফেলে,আক্রান্ত অংশ শুকিয়ে যায়। গাছের খাদ্যতৈরী বিঘ্ন হয়। পরবর্তীতে লার্ভা গুলি আলাদা হয়ে যায়। ব্যাপকভাবে গাছের পাতা খেয়ে ফেলে।লতিরাজ কচুতে এই পোকা ধরার পর এরা লতিতে আক্রমণ করে লতির নরম আঁশ খেয়ে ফেলে। লতি সংলগ্ন কাণ্ডে পোকার মল দেখা যায়। অতিরিক্ত আক্রমণের ফলে ফলন মারান্তক ভাবে কমে যায়।
পরবর্তীতে খাদ্যেও সন্ধানে এক মাঠ খেকে অন্য মাঠে ছড়িয়ে পড়ে। এই পোকা দমনে সরেজমিনে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ জলবায়ু ট্রাষ্ট সরেজমিন গবেষণা বিভাগ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট বগুড়া। প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড: জুলফিকার হায়দার প্রধানের নেতৃত্বে সরেজমিনে জয়পুরহাট ও পাঁচবিবি এলাকার পাটাবুকা মাঠ পরিদর্শন করলেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড: মো: রহমত আলী মোল্লা, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো: মনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী, ও মো: তানবীর হাসান, ও রেসাবুল।
তারা সরাসরি লতিরাজ কচু চাষীদের সাথে কথা বলে বিষ মুক্ত পদ্ধতিতে ফেরোমেন ভিত্তিক পরিবেশ বান্ধব কচু উৎপাদনে দিক নির্দেশনা দিলেন। সম্ভাবনাময় রপ্তানীযোগ্য সবজি কচুর লতি চাষ করে স্বল্প সময়ে লাভবান হচ্ছে জয়পুরহাটের কৃষকরা। প্রতি বছর এই কৃষি পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হলেও কচুর লতি চাষে কৃষি বিভাগের পরামর্শ ছাড়া সরকারের কোন পৃষ্ঠপোষকতা নেই। নেই লতি বিক্রির স্থায়ী কোন হাট-বাজার। অস্থায়ী একটি বাজার গড়ে উঠলেও তা পাইকারদের হাতে জিম্মি থাকায় কৃষকরা বঞ্চিত হচ্ছে ন্যায্য মূল্য থেকে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।